গড়তে চেয়েছিলেন গতির রেকর্ড, বাধ সাধল মৃত্যু, থেমে গেলেন বিশ্বের দ্রুততম মহিলা কার রেসার

  • গড়তে চেয়েছিলেন গতির রেকর্ড
  • হার মানলেন মৃত্যুর কাছে
  •  প্রাণ হারালেন বিশ্বের দ্রুততম মহিলা কার রেসার
  • তাঁর অকাল প্রয়াণে শোকাহত বিশ্ব

Indrani Mukherjee | Published : Aug 30, 2019 10:16 AM IST / Updated: Aug 30 2019, 04:42 PM IST

গতির নেশায় ছুটে চলতের দুর্বার গতিতে। চার চাকার গাড়ি ট্র্যাকে নামলেই যেন তিনি ভেসে যেতেন অন্য এক জগতে, কিন্তু শেষমেষ এই গতির সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়েই অবশেষে থামতে হল তাঁকে! কার রেসিং-এ রেকর্ড গড়তে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ হারালেন পৃথিবার দ্রুততম নারী হিসাবে খ্যাতি প্রাপ্ত মার্কিন কার রেসার জেসি কম্বস। 

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দক্ষিণ-পূর্ব অরেগনে নিজের জেট চালিত গাড়ি চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন ৩৬ বছর বয়সী এই কার রেসার। আর এই দুর্ঘটনার কবলে পড়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রেসিং কার নিয়ে গতির রেকর্ড করতে গিয়েই প্রাণ হারিয়েছেন তিনি। চার চাকার রেসের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন নারী হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন তিনি। 

শুধু তাই নয়, জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে ঘণ্টায়ে ৩৯৮ মাইল পথ অতিক্রম করার রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। এরপর আবার সেই রেকর্ডই তিনি ভেঙেছিলেন ২০১৬ সালে। সেবার ৪৭৮ মাইল পথ প্রতি ঘণ্টায় অতিক্রম করেন তিনি। কিন্তু এর আগে ১৯৭৬ সালে প্রতি ঘণ্টায় ৫১৩ মাইল পথ কার রেসিং করে অতিক্রম করেছিলেন কার রেসার কিটি ওনিল। এবার কিটির-র সেই রেকর্ডই ভাঙতে চেয়েছিলেন জেসি কম্বস। 

আরও পড়ুন- ৩৭০ ধারা বাতিলের পর ২২২ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান, চলতি বছরে সংখ্যাটা ১৯০০

আরও পড়ুন -মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে আত্মঘাতী পুলিশকর্মী, মৃত্যু ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য

আরও পড়ুন- এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার খবরে প্রাণ গেল এক মহিলার, তদন্তে উঠে এল রিপোর্ট ভুয়ো

আরও পড়ুন- দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো আচরণ না করে স্বাভাবিক প্রতিবেশী হন, পাকিস্তানকে তোপ কেন্দ্রের

তাঁর পরিবারের তরফ থেকে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে বলা হয়ে যে, অত্যন্ত হাসিখুশি স্বভাবের জেসি সকলের কাছেই একটা অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছিলেন তিনি।  নর্থ আমেরিকা ঈগল সুপারসনিক স্পিড চ্যালেঞ্জার টিমের একজন সদস্যও ছিলেন তিনি। কিন্তু দুর্বার গতিতে ছুটতে গিয়েই অবশেষে থেমেই গেল তাঁর জীবন। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তাঁর বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনও। জেসিকে বাঁচানোর চেষ্টায়ে কোনওরকম ত্রুটি রাখা না হলেও, তাঁর আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে, তাঁকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। গতির সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে অবশেষে থামতে হল জেসি-কে। 

Share this article
click me!