বুধবার ভারতের প্রায় সর্বত্র মহাধূমধামে পালিত হয়েছে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মদিবস। তবে গান্ধী তো শুধু ভারতের সীমান্তে আবদ্ধ নন, তাঁর মহিমা বিশ্বব্যপী। তাঁর সার্ধ শতবর্ষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই তাঁকে বিশেষ সম্মান জানানো হল।
বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু টাওয়ার বুর্জ খলিফা। বিভিন্ন বিশেষ মুহূর্তকে তুলে ধরতে আবু ধাবির এই টাওয়ারে আলোকসজ্জা দেখা যায়। গান্ধীর সার্ধশতবর্ষে আরব আমিরশাহির এই গর্বের টাওয়ার সাজল বাপুর ছবিতে। গোটা টাওয়ারটির গায়ে আলো দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয় ভারতের তেরঙ্গা পতাকা। আর একেবারে নিচের অংশে আলোকসজ্জাতেই আঁকা হয় মহাত্মার মুখাবয়ব।
আরও পড়ুন - কোট-প্যান্ট ছেড়ে খাটো ধুতি, কীভাবে বদলেছিল গান্ধীর পোশাক, জেনে নিন নেপথ্য কাহিনি
সার্ধশতবর্ষে মহাত্মা গান্ধী দেখে নিন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা তাঁর বিখ্যাত ২০টি মূর্তি
মহাত্মা গান্ধীর ফুটবল প্রেম , দক্ষিণ আফ্রিকার অজান কথা
ভারতের প্রতিবেশী দেশ নেপালে এতদিন গান্ধীর কোনও মূর্তি ছিল না। বুধবার ভারতীয় রাষ্ট্রদূত মনজিব সিং পুরি সেই দেশের প্রথম গান্ধী মূর্তির উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে নেপালের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। বিবেকানন্দ কালচারাল সেন্টার ও কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ভদন পরিবেশন করেন। চরকায় সুতাও কাটা হয়।
ফ্রান্সে গান্ধীর সার্ধশতবর্ষ স্মরণীয় করে রাখতে একটি পোস্টাল স্ট্যাম্প প্রকাশ করা হয়। শুধু ফ্রান্সেই নয়, গান্ধীর স্মরণে একই ধরণের ডাকটিকিট প্রকাশিত হয়েছে উজবেকিস্তান, তুরস্ক প্যালেস্তাইন ও বিশ্বের আরও বেশ কয়েকটি দেশে।
তবে সবচেয়ে বড় সম্মান জ্ঞাপন করেছে রাষ্ট্রসংঘ। বুধবার রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল জানান, মহাত্মা গান্ধীই বিশ্বকে দেখিয়েছিলেন অহিংস পথেও আন্দোলন করা যায়। যা পৃথিবীর ইতিহাসই বদলে দিয়েছিল। রাষ্ট্রসংঘের একেবারে মূলে রয়েছে গান্ধীর দর্শন।