'খুনি বৌ'এর আজব কাণ্ড, তদন্তে নেমে মাথায় হাত পুলিশের


পুলিশ বলেছে, পোস্টমর্টেমে ধরা পড়েছে অন্য ছবি। রিপোর্টে বলা হয়েছে বায়োটকে প্রচন্ড মারধর করা হয়েছিল। তাতেই তিনি মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন। তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ আরও জানিয়েছেন কনস্যুলেটের কর্মী যে কথা বলছেন তা পোস্টমর্টেমের রিপোর্টের সঙ্গে একদমই মেলে না।

Saborni Mitra | Published : Aug 7, 2022 12:31 PM IST

স্বামীকে হত্যা করে অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ, গ্রেফতার করা হল জার্মান কূটনীতিককে। এই ঘটনা ঘটেছে রিও ডি জেনিরোতে। পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী উয়ে হার্বাট হ্যান জার্মান কনস্যুলেটে কাজ করেন জার্মান মহিলা। তিনি শুক্রবার রিপোর্ট করেছিলেন তাঁর স্বামী ওয়াল্টার হেনরি ম্যাক্সিমিলিয়েন বায়োট,  রহস্যজনকভাবে মারা গেছেন। এই রিপোর্ট করার সময় হ্যান কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছিলেন, কিছু একটা তাঁর স্বামীর মাথায় ভেঙে পড়েছিল। তারপর মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছিল স্বামী। চিকিৎসা করার আগেই স্বামীর মৃত্যু হয়। 

কিন্তু সম্পর্ণ অন্য কথা জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ বলেছে, পোস্টমর্টেমে ধরা পড়েছে অন্য ছবি। রিপোর্টে বলা হয়েছে বায়োটকে প্রচন্ড মারধর করা হয়েছিল। তাতেই তিনি মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন। তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ আরও জানিয়েছেন কনস্যুলেটের কর্মী যে কথা বলছেন তা পোস্টমর্টেমের রিপোর্টের সঙ্গে একদমই মেলে না। আর সেই কারণেই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মহিলা জার্মান হলেও তাঁর স্বামী ছিলেন বেলজিয়ামের বাসিন্দা। পুলিশ আরও জানিয়েছে মৃত্যুর আগে আহত অবস্থায় অনেকক্ষণ ধরে চিৎকার করেছিল আক্রান্ত বায়েট। কিন্তু তাঁকে সাহায্যের জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। 
 

হ্যান ও বায়োটের বিয়ে হয়েছিল ২০ বছর আগে। কিছু দিনের মধ্যেই ৫৩ বছরে পা দেওয়ার কথা ছিল বায়োটের। তবে হ্যানের সঙ্গে তার সম্পর্ক কেমন ছিল তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি পুলিশ। তবে পুলিশ মৃতের বেশ কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, রক্তাক্ত অবস্থায় বায়োট বাড়ির মেঝেতে পড়ে রয়েছে। অ্যাপার্টমেন্টের মেঝে আর দেওয়ালে রক্তের দাগ স্পষ্ট। রিপোর্টে বলা হয়েছে হ্যানই খুন করেছে। সেখানে অন্য কোনও ব্যক্তির উপস্থিত ছিল না বলেও জানিয়েছে পুলিশের রিপোর্ট। 

পুলিশের আরও অনুমান হ্যান যখন তার স্বামীকে খুন করে তখন সে মাতায় অবস্থায় চিল। তবে সেই ঘটনার এখনও পর্যন্ত কোনও সাক্ষ্য প্রমান খুঁজে পায়নি পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান দাম্পত্য কলহের কারণেই এই হত্যাকাণ্ড। তবে কী  কারণে দাম্পত্য কলহ তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার পর হ্যানকে গ্রেফতার করা হলেও হ্যান এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি।  হ্যান তদন্তে কোনও রকম সহযোগিতা করছে না বলেও অভিযোগ পুলিশের। হ্য়ান নাকি কোনও কথাই বলছে না। 

নীতি আয়োগের বৈঠেক হাত জোড় করে সৌজন্য মমতা-মোদীর, জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়েও আলোচনা

গরু পাচারকাণ্ডে আবার তলব অনুব্রত মণ্ডলকে, হাজিরা 'এড়িয়ে' এসএসকেএম-এ যাচ্ছেন তৃণমূল নেতা

রাতদিন জেলে কীভাবে কাটাচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়? জানুন প্রাক্তন মন্ত্রীর জেলের প্রতিবেশী কারা

Share this article
click me!