কিম জীবিত না মৃত জল্পনা তুঙ্গে
ওয়ানসনে কিমের ট্রেন গিয়েছিল
স্যাটেলাইটে ধরা পড়ে সেই ছবি
যা নিয়ে আরও জোর জল্পনা
কোথায় আছেন উত্তর কোরিয়ার প্রধান? কেমন আছেন কিম জং উন? তিনি কি বেঁচে আছেন-- শুধু উত্তর কোরিয়া নয়। গোটা বিশ্বের কাছেই এটা লাক্ষ টাকার প্রশ্ন। ইংল্যান্ড থেকে আমেরিকার একাধিক সংবাদ মাধ্যম কিমকে নিয়ে খবর করলেও এখনও নিশ্চুপ উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম। এখনও বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে নারাজ সে দেশের প্রশাসনও। কিন্তু সূত্রের খবর হার্ট অপারেশনের দরুন কিম রীতিমত সংকটে রয়েছেন। ইতিমধ্যেই চিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আর অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠিয়েছে কিমের জন্য। তবে তার বেশি কিছু জানাতে নারাজ বেজিংও। দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই রাষ্ট্র নায়ককে নিয়ে কী হচ্ছে তার কোনও উত্তর নেই।
তবে স্যাটেলাইট চিত্রে ধরা পড়েছে কিমের ব্যক্তিগত ট্রেন রয়েছে উনসানে।দেশের পূর্ব উপকূলের বর্ধিষ্ণু এই এলাকায় কিমের পৈত্রিক বাড়ি। এখানের একটি স্টেশন কিম ও তাঁর পরিবারের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। সেই স্টেশনেই গত ২১ এপ্রিল থেকে ২৩ এপ্রিল কিমের নিজস্ব ট্রেনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। কিন্তু সেই ট্রেনে কী কিম ছিলেন ? এখনও পর্যন্ত তার কোনও উত্তর নেই। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলিও কিমের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছে। গতকালেরই রটনা ছিল কিমের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কিমের ব্যক্তিগত ট্রেনের ছবি সামনে আসায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
তবে এখনও কিমের মৃত্যুর খবরে অনড় হংকং-এর একটি সংবাদ মাধ্যম। গোপন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী তারা এখনও দাবি করছে হার্টের অপারেশনের পরই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন কিম। তারপর থেকে চূড়ান্ত চেষ্টা করলেও কোনও লাভ হয়। চিকিৎসকরা কিমকে বাঁচাতে ব্যর্থ হয়েছেন। মাত্র ৩৬ বছরেই মৃত্যু হয়েছে কিমের। চিন, হংকংসহ একাধিক জায়গায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে গেছে কিমের মৃত্যুর খবর। এক সাংবাদিক, যিনি চিনের এক মন্ত্রীরও ঘনিষ্ট তিনিও দাবি করেছেন কিমের মৃত্যু হয়েছে। তবে এখনও মুখ খোলেনি উত্তর কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যম।
আরও পড়ুনঃ করোনা লড়াইয়ে অংশ হতে পারেন আপনিও, মন কি বাত অনুষ্ঠানে বার্তা মোদীর ...
আরও পড়ুনঃ করোনা মোকাবিলায় দ্রুত পরীক্ষায় দেরি কেন, সামনে আসছে কোন কোন তথ্য ...
গত ১১ এপ্রিল প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নায়ক কিম জং উনকে। উত্তর কোরিয়ার পথিকৃৎ ছিলেন কিম জং-এর দাদু। তাঁর জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও প্রকাশ্যে আসেননি কিম। যা নিয়ে জল্পনার সূত্রপাত। তবে কিমের পরবর্তীকাল কে উত্তর উত্তর কোরিয়ার শাসনভার হাতে তুলে নেবে তাই নিয়েও ইতিমধ্যে জল্পনা শুরু হয়েগেছে বিশ্বজুড়ে। কিম ছিলেন তাঁদের পরিবারের তৃতীয় রাষ্ট্র নায়ক। কিন্তু তাঁর সন্তানরা দেশের শাসনভার গ্রহণ করার পক্ষে অনেকটাই ছোট। তাই উঠে আসছে কিমের বোন ইয়ো জং-এর নাম। মাস সাখেন আগেই তাঁকে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দল ওয়ার্কাস পার্টি। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কিম নিজে।