'ইমিউনিটি পাসপোর্ট'-এর বিরুদ্ধে 'হু', তাহলে কি সুস্থ হয়েও করোনা থেকে রেহাই নেই

'ইমিউনিটি পাসপোর্ট' বা 'রিক্স ফ্রি সার্টিফিকেট'

কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হলে দেহে থাকছে অ্যান্টিবডি

তাই তাদের বিশেষ ছাড় দেওয়ার কথা ভাবছে অনেক দেশ

শনিবার অবশ্য এর বিরোধিতা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

 

amartya lahiri | Published : Apr 25, 2020 1:34 PM IST

কোথাও বলা হচ্ছে 'ইমিউনিটি পাসপোর্ট' কোথাও বা 'রিক্স ফ্রি সার্টিফিকেট'। কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে যাঁরা সুস্থ হয়ে উঠছেন, তাঁদের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে করোনাভাইরাস-এর সঙ্গে লড়াই করার মতো। তাই, তাঁদেরকে অনেক দেশের সরকারই সংক্রমণের ঝুঁকিমুক্ত বলে মনে করছে এবং তাঁদের ক্ষেত্রে অনেক বিধিনিষেধ শিথিল করা হচ্ছে। কিন্তু, শনিবার এই প্রবণতার বিরোধিতাই করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লুএইচও।

এদিন রাষ্ট্রসংঘের এই সংস্থা বিভিন্ন দেশের সরকারগুলিকে, যাঁরা একবার সংক্রামিত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তাঁদের 'ইমিউনিটি পাসপোর্ট' বা 'অনাক্রম্যতা পাসপোর্ট' কিংবা 'রিক্স ফ্রি সার্টিফিকেট' বা 'ঝুঁকিমুক্ত শংসাপত্র' দেওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করল বিশ্বেরল বিভিন্ন দেশের সরকারকে। তারা সাফ জানিয়েছে, কোভিড-১৯ রোগ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং দেহে অ্যান্টিবডি রয়েছে এমন ব্যক্তিরা যে দ্বিতীয়বার করোনাভাইরাস সংক্রামিত হবেন না, এখনও তার কোনও নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

তারা এদিন জানিয়েছে, কিছু কিছু দেশের সরকার জানিয়েছে, যাদের দেহে সার্স-কোভ-২'এর অ্যান্টিবডি রয়েছে, তাদের 'অনাক্রম্যতা পাসপোর্ট' বা 'ঝুঁকিমুক্ত শংসাপত্র' দেওয়া হবে। তারা পুনরায় সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত তা ধরে নিয়ে এই পাসপোর্ট বা শংসাপত্রের দৌলতে ভ্রমণ বা অফিসে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হবে। কিন্তু, ডব্লুএইচএও-র মতে এই প্রবণতা অবিরাম করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। কারণ, যাঁরা সুস্থ হচ্ছেন, তাঁরা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যে সাধারণ সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তা উপেক্ষা করতে পারে।

করোনার গ্রাসে ভারতের এই দুই ডাক্তার, দায়ি করা হচ্ছে 'জামাতি'দের, সত্যিই কি তাই

ভরা বর্ষায় আছড়ে পড়বে করোনাভাইরাস-এর 'দ্বিতীয় তরঙ্গ', উদ্বেগ বাড়ালেন গবেষকরা

কীটনাশক ইনজেকশন থেকে শরীরে ইউভি-রে, 'ডাক্তার ট্রাম্প'-এর পরামর্শে বিজ্ঞানী মহলে আতঙ্ক

লাগবে একটা এক্স-রে স্ক্যান, ৫ সেকেন্ডেই কোভিড-১৯ রোগী ধরবে আইআইটির সফটওয়্যার

এখনও কোভিড -১৯ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা এবং অ্যান্টিবডি থাকা ব্যক্তিরা দ্বিতীয়বার সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত তার নিশ্চিত কোনও প্রমাণ না থাকলেও, হু জানিয়েছে, তারা ভাইরাসটির প্রতি অ্যান্টিবডি প্রতিক্রিয়া নিয়ে গবেষণা জারি রেখেছে। এখনও পর্যন্ত বেশিরভাগ গবেষণায় দেখা গিয়েছে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের শরীরে ভাইরাসের অ্যান্টিবডি রয়েছে। তবে তাদের কারও কারও রক্তে অ্যান্টিবডিগুলিকে নিউট্রিলাইজ করার মাত্রা অত্যন্ত কম রয়েছে। তাই কোষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা-ও কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

Share this article
click me!