সরকারি বয়ানের উল্টো পথে হাঁটছে চিন, সংঘর্ষের আগেই গালওয়ানে পাঠান হয়েছিল সেনা

গালওয়ানে সংঘর্ষের আগেই পাঠান হয়েছিল সেনা
দাবি করেছেন চিনের সরকার সংবাদ মাধ্যম
সীমান্তে ভারতী বাহিনীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ গোয়েন্দাদের 
 

Asianet News Bangla | Published : Jun 28, 2020 11:47 AM IST

গালওয়ান সংঘর্ষের আগেই ভারত চিন সীমান্তে সেনা পাঠিয়েছিল বেজিং। গালওয়ান সংঘর্ষের প্রায় সপ্তাহখানেক পরে তেমনই দাবি করছে চিনের সরকারি সামরিক প্রত্রিকা চায়না ন্যাশানাল ডিফেন্স নিউজ। সংবাদপত্রটি দাবি করেছে মাউন্ট এভারেস্ট অলিম্পিক টর্চ রিলে দলের প্রাক্তন সদস্য ও মিশ্র মার্শাল আর্ট ক্লাবের যোদ্ধাসহ ৫টি নতুন মিলিশিয়া বিভাগ লাসায় হাজির ছিল। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারক সিসিটিভিতে তিব্বতের রাজধানীতে কয়েকশো নতুন সেনার সারিবদ্ধ ফুটেজও দেখা গেছে। চিনের ন্যাশানাল ডিফেন্স নিউজ জানিয়েছে, তিব্বতের কমান্ডার ওয়াং হাইজিয়াং বলেছেন, এনবো ফাইট ক্লাবের নিয়োগকারী সৈন্যদের সংগঠন ও শক্তি খুব দ্রুততার সঙ্গে বাড়ান হবে। বৃহস্পতিবারই ভারত দাবি করেছে প্রতিপক্ষ হিমালয় সীমান্ত এলাকায় সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করেছে। যার চিনা সরকারি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে সঙ্গে প্রায় মিলে যাচ্ছে। 

সূত্রের খবর  ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা  গালওয়ানসহ বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ভারতীয় সেনা বাহিনীকে সক্রিয় ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। কারণ গোয়েন্দাদের অভিমত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখা থেকে সেনা সরিয়ে নিলেও আরও দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে ফিরে আসতে পারে চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যরা। আর তা মোকাবিলা করার জন্য সতর্ক থাকা প্রয়োজন ভারতীয় বাহিনীকে। গোয়েন্দাদের অভিমত চিন এখনই রণে ভঙ্গ দেবে না। কারণ করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পর সেই দেশের আর্থিক অবস্থা রীতিমত টালমাটাল। এই পরিস্থিতি চিনের প্রেসিডেন্ট সি জিংপিং-এর জনপ্রিয়তা রীতিমত তলানিতে ঠেকেছে। তাই যুদ্ধের জিগির তুলে জাতীয়তাবাদের আবহে নিজের জনপ্রিয়তা বাড়াতেই সচেষ্ট হবেন চিনা কমিউনিস্ট পার্টি প্রেসিডেন্ট ও সেনাবাহিনীর একচ্ছত্র অধিপতি সি জিংপিং। 

'ভারতকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে'ই কি চিনের ১৬টি সেনা ছাউনি, গালওয়ানে ভারী হচ্ছে 'ড্রাগনের পায়ের ছাপ' ...

দিল্লির করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে কেন্দ্র -রাজ্য টানাপোড়েন, বাকযুদ্ধ অমিত শাহ ও সিসোদিয়ার ...
তবে ১৬ জুনের পর দুই দেশের সীমান্ত উত্তাপ কমাতে একাধিক বৈঠক হয়েছে। সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার কথা বললেও বরাবর উল্টোপথেই হেঁটেছে চিন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর তৈরি করে চলেছে বাঙ্কার। রাস্তা ও কালভার্ট নির্মাণের ছবিও স্পষ্ট হয়েছে। তাই চিন মুখে রণেভঙ্গ দিলেও আদতে পূর্ব লাদাখের বিস্তীর্ণ সীমান্ত জুড়েই যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে চলেছে। 

'ভারতের ইতিহাস চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে শিখিয়েছে ',২০২০ নিয়ে অবসাদ কাটাতে দাওয়াই মোদীর ...

Share this article
click me!