ড্রাগনদের শিক্ষা দিতে ময়দানে নামল আমেরিকা, ভারতীয় পাইলটদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ ট্রাম্পের দেশে

  • লাদাখে চিনা আগ্রাসন নিয়ে উদ্বিগ্ন আমেরিকা
  • ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে চাইছে আমেরিকা
  • এদেশের পাইলটদের তাই বিশেষ প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা
  • আমেরিকার গুয়ামে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ভারতয়ী পাইলটদের 

Asianet News Bangla | Published : Jun 27, 2020 12:26 PM IST / Updated: Jun 27 2020, 06:01 PM IST

চিন আগ্রাসন চলছে গোটা বিশ্ব জুড়ে। ভারতের মতই দক্ষিণ চিন সাগরের দেশগুলিও লাল ফৌজের চোখ রাঙানি দেখে অভ্যস্ত। আর চিনের ক্রমবর্ধমান এই আগ্রাসন একেবারেই না পসন্দ আমেরিকার। তাই গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনা শহিদ হওয়ার পর শোকপ্রকাশ করেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর চিনের সঙ্গে ভারতের উত্তপ্ত এই সীমান্ত সমস্যার মাঝেই এবার দিল্লির দিকে সাহায্যের হাত বাড়াল আমেরিকা। যার অংশ হিসাবে ভারতীয় পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা নিল আমেরিকা।

গত কয়েক বছরে আমেরিকা ও ভারত বিভিন্ন বিষয়ে কাছাকাছি এসেছে। এবার চিনা আগ্রাসনকে নজরে রেখে সেই সম্পর্ক আরও মজবুত করার পরেই এগোচ্ছে দুই দেশ। তাই প্রথা ভেঙে একদা সোভিয়েত ইউনিয়ন ঘনিষ্ঠ ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিতে তৈরি হচ্ছে আমেরিকা। এমনকী সামরিক ক্ষেত্রেও ভারতকে একাধিক সহযোগিতার বার্তা আমেরিকার। সূত্রের খবর, দুই দেশ মিলে তৈরি করতে চলেছে চিনের বিরুদ্ধে এক গোপন চক্রব্যূহ।

আরও পড়ুন: যুদ্ধ হলে ভারতের পক্ষে দাঁড়াবে কোন কোন দেশ, জেনে নিন জিনপিং সাহায্য পাবেন কাদের

এশিয়া মহাদেশে চিনের আগ্রাসী গতিবিধি নজরে রেখে গত বৃহস্পতিবার ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট ২০২১ ’ শীর্ষক একটি বিল সেনেটে পেশ করে ট্রাম্প প্রশাসন। এই বিল আইনে পরিণত হলে, ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার বায়ুসেনার পাইলটদের প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে মার্কিন ফৌজের ঘাঁটি গুয়ামে প্রশিক্ষণ দেবে আমেরিকা।

মাস ছয়েক আগেই সিঙ্গাপুরের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নং এঙ্গ হেনের সঙ্গে একটি মউ স্বাক্ষর করেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার। এর ফলে গুয়ামে ফাইটার পাইলটদের প্রশিক্ষণের জন্য যৌথভাবে উদ্যোগী হয়েছে দুই দেশ। কূটনীতিবিদদের মতে, এশিয়া মহাদাশের নানা প্রান্তে চিনা চোখরাঙানি শুরু থেকেই ভালো চোখে নেয়নি আমেরিকা। তবে কূটনৈতিক জটিলতার জেরে সরাসরি এব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ তারা করতেও পারেনি। তবে এবার ভারতীয় ভূখণ্ডে অবৈধভাবে চিন ঢুকে পড়ায় সমীকরণ বদলেছে। তাই এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনকে ঘিরে ফেলতে তৎপর হয়েছে আমেরিকা। সেই কারণে  ভারত, জাপান, সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বিশেষ সামরিক বলয় বানিয়ে লালফৌজকে বেকায়দায় ফেলতে তৈরি হচ্ছে ওয়াশিংটন।

আরও পড়ুন: লাদাখ সংঘাত ঘিরে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনা প্রবল হচ্ছে, নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে ফের হুঁশিয়ারি দিল্লির

এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করতেই হয়, লাদাখে চিনা আগ্রাসনের পরেই ইউরোপ থেকে মার্কিন সেনা এশিয়ায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। পাশাপাশি প্রশান্ত মহাসাগরে যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী মোতায়েন করেছে আমেরিকা। 

Share this article
click me!