করোনা সংক্রমণের মধ্যেই যুদ্ধের বার্ষিকী উজ্জাপন কিম জং-এর, জাতীয়তাবাদ জাগিয়ে তোলার চেষ্টা

উত্তর কোরিয়ায় করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে 
দেশে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা
তারই মধ্যে যুদ্ধের বার্ষিকী উজ্জাপন কিম জং উনের 
 

Asianet News Bangla | Published : Jul 27, 2020 2:56 PM IST

এক দিন আগেই দেশে করোনা আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গেছে। তারপর তড়িঘড়ি বন্ধ করে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল উত্তর কোরিয়ায়। কাইসং এলাকায় আচমকা লকডাউন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তারপরেও নিজের  পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি পালনে কোনও রকম হেরফের করেননি উত্তর কোরিয়ায় স্বৈচারারি শাসক কিম জং উন। 


সোমবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, পিয়ংইয়ং-এর উপকণ্ঠে জাতীয় করবস্থান পরিদর্শন করেনি কিম। সেখানে সমাহিত রয়েছে ১৯৫০-৫৩ সালে কোরিয়ার যুদ্ধে নিহত দেশের বীর সৈনিকরা। যুদ্ধে ৬৭তম বার্ষিকি উজ্জাপন উপলক্ষ্যেই কিম সেখানে গিয়েছিলেন বলেও জানান হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে কেসিএন জানিয়ছেন ফাদারল্যান্ড লিবারেশন ওয়ার শহিদদের কবর স্থানে অবস্থিক বিশাল স্মৃতিসৌধের সামনে কিম একটি গোলাপ অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদেন করেন। তবে সংবাদ মাধ্যমটি জানায়নি কিম কখন সেখানে গিয়েছিলেন। 

১৯৫৩ সালে যুদ্ধ শেষ হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও শান্তি চুক্তি স্থাপন করা হয়নি। যদিও উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দল এটিকেই জয় হিসেবে চিহ্নিত করে। আর যুদ্ধের এই বার্ষিকিকে প্রতারে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারও করে।আর এই অনুষ্ঠানেই তিনি দেশের পবিত্র পাহাড়ের নাম অনুসারে পাইকতুসান পিস্তল সেনার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন। এর পরই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা কিমের জন্য আরও কঠিন লড়াইয়ের অঙ্গীকার করেছেন। 

চিন আর পাকিস্তানের মোকাবিলা করতে শক্তি যোগাবে রাফাল, দাবি প্রাক্তন এয়ার মার্শালের .

রাম মন্দিরের ২০০০ ফুট নিচে রাখা হবে টাইম ক্যাপসুল, বিতর্ক এড়াতেই এই আগাম ব্যবস্থা ...

যদিও উত্তর কোরিয়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়াকে দায়ি করেছে। পাল্টা দক্ষিণ কোরিয়া প্রমাণ চেয়েছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে করোনা মরামারীর সঙ্গে লড়াই করার জন্য কিম দেশের সাধারণ মানুষকে তাঁর পাশে থাকার জন্য় আর্জি জানিয়েছেন। যদিও একটি অংশ মনে করেছে এই দেশে সংক্রমণের কোনও ঘটনা ঘটেনি। কারণ দীর্ঘ দিন ধরেই চিন সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিশ্লেষকরা মনে করছেন সংক্রমণ দেখা দিলে এই দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা ক্রমশই প্রকট হবে। পরিষেবা পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। 

আকসাই চিনের দিক থেকে হামলা চালাতে পারে লালফৌজ, মোকাবিলায় ১২টি ভীষ্ম ট্যাঙ্ক কারাকোরাম পাসে ...

Share this article
click me!