দেড়ফুটেরও বেশি বড় - আরশোলা না রাক্ষস, কাঠের মতো শক্ত দেহে রয়েছে ৭ জোড়া ঠ্যাং

দেড়ফুটেরও বেশি বড় মাপের আরশোলা

মিলল ভারত মহাসাগরের কতলদেশ থেকে

দেখে ভয়ে গা শিরশির করে উঠতে পারে

কিন্তু, সত্যিই কি এটা আরশোলা

amartya lahiri | Published : Jul 27, 2020 11:15 AM IST / Updated: Jul 31 2020, 10:03 AM IST

আকারে দেড়ফুটেরও বেশি বড়। সঙ্গে কিলবিল করছে ৭জোড়া ঠ্যাং। এটা একটা 'আরশোলা' না দৈত্য! দেখে ভয়ে গা শিরশির করে উঠতে পারে।

এরকমই এক আজব প্রাণীর সন্ধান মিলল ঘরের কাছেই, ভারত মহাসাগরের তলদেশ থেকে।  সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা উপকূলে গভীর সমুদ্রের ১৪ দিন ধরে অভিযান চালানোর সময়ই এই ভয়ঙ্কর দেখতে প্রাণীটি আবিষ্কৃত হয়।

বস্তুত, মানুষ চাঁদ পর্যন্ত পারি দিয়ে ফেললেও গভীর সমুদ্রের তলদেশে এখনও অনেক বিস্ময় লুকিয়ে রয়েছে মানুষের জন্য। বেশিরভাগটাই অজানা। এই অজ্ঞাত জগৎ সম্পর্কে সম্মক ধারণা তৈরির উদ্দেশ্যেই সিঙ্গাপুরের গবেষক দলটি ২০১৮ সালে ১৪ দিন ধরে ভারত মহাসাগরের গভীরে অনুসন্ধান চালিয়েছিলেন। ১৪ দিনের সেই অভিযানে পাওয়া গিয়েছিল ১২,০০০-এরও বেশি নতুন গভীর সামুদ্রিক প্রাণী। যার মধ্যে একটি হল এই বিশালাকার আরশোলা। সম্প্রতি একে নতুন একটি প্রজাতি হিসাবে চিহ্নিত করে এর নাম দেওয়া হয়েছে, 'বাথিনমাস রাক্ষস'।

'বাথিনমাস' একটি গভীর সমুদ্রের 'ক্রাস্টাসিয়ান' গোত্রের প্রাণী। 'ক্রাস্টাসিয়ান' মানে এদের গা কঠিন আবরণযুক্ত। গবেষকরা জানিয়েছেন এরা আকারে ২০ ইঞ্চি বা ৫০ সেন্টিমিটার অবধি বাড়তে পারে। এখনও পর্যন্ত এরাই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আইসোপড অর্থাৎ, কঠিন আবরণযুক্ত বহুপদী প্রাণী।

আরশোলার সঙ্গে সাদৃশ্য থাকায় এদের 'সামুদ্রিক আরশোলা' বলা হলেও এই ১৪ পায়ের প্রাণীগুলি আসলে কাঁকড়া কিংবা চিংড়ির মতো অন্যান্য সামুদ্রিক পরিবার সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। সমুদ্রের তলদেশে হেঁটে বেড়ায়। দেখতে ভয়াবহ হলেও এরা এমনিতে খুবই নিরিহ। মৃত সামুদ্রিক প্রাণীর দেহাবশেষই এদের খাদ্য। তবে দীর্ঘ সময় এরা কোনও খাদ্য ছাড়াই বেঁচে থাকতে পারে।

স্বাভাবিকভাবেই এই আবিষ্কারটি সোশ্যাল মিডিয়ায় সাড়া ফেলে দিয়েছে। সকলেই প্রাণীটিকে দেখে বেশ ভয় পেয়েছেন বলেই জানিয়েছেন। এর মাথা এবং যৌগিক চোখ-এর জন্য স্টার ওয়ার্স-এর 'ডার্থ ভেডার' চরিত্রটির সঙ্গেও 'বাথিনমাস রাক্ষস'-এর দারুণ মিলল খুঁজে পেয়েছেন অনেক নেটিজেন। ইন্দোনেশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সেসের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নতুন প্রজাতির আবিষ্কারটি আকার এবং যে ইকোসিস্টেমে তাকে পাওয়া গিয়েছে তা জীববিজ্ঞানের গবেষণায় বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।

Share this article
click me!