ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে, প্রায় ৩০ শতাংশের কাছাকাছি পাকিস্তানিরা অপরিহার্য জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি এবং প্রকৃত মজুরিতে তীব্র হ্রাস দেখেছেন। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও কমে এসেছে।
আরও একবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল অর্থাৎ আইএমএফের থেকে মোটা অঙ্কের লোন চাইছে পাকিস্তান। কিন্তু আন্তর্জাতিক সংস্থার সন্দেহ আছে যে পাকিস্তান ঋণ পরিশোধ করতে পারবে কি না। কিন্তু পাকিস্তানের ২৪০ মিলিয়নেরও বেশি নাগরিক এখন সংকটে রয়েছেন। দেশের দরিদ্ররা বিশেষভাবে খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে, প্রায় ৩০ শতাংশের কাছাকাছি পাকিস্তানিরা অপরিহার্য জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি এবং প্রকৃত মজুরিতে তীব্র হ্রাস দেখেছেন। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও কমে এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বর্তমানে দেশের অর্থ সংকট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে আরও একটি বেলআউট চেয়ে বলেছেন, 'আইএমএফের আরও একবার সাহায্য না করলে আমরা বাঁচতে পারব না।' পাকিস্তানের সঙ্গে আইএমএফের একটি অস্থায়ী, বা স্টাফ-লেভেল চুক্তিতে সম্মত হওয়ার একদিন পরে এই মন্তব্য করেছেন শরীফ।
উল্লেখ্য, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, কোভিড-১৯ মহামারী, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ সবই অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। জানা গিয়েছে পাকিস্তানের হাতে আছে মাত্র ৮ বিলিয়ন ডলার, মোটামুটি আট সপ্তাহের আমদানিতেই এই পরিমাণ শেষ হয়ে যাবে। সব মিলিয়ে এখন প্রবল চাপে ভারতের প্রতিবেশী দেশ।
দাবি উঠেছে, এয়ারলাইন এবং অন্যান্য লোকসানকারী সংস্থাগুলির বেসরকারীকরণ পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করবে কারণ এটি সরকারী লোকসান কমাবে। দেশটি ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে ব্যাঙ্কগুলোর একই অবস্থা দেখেছিল এবং বেসরকারীকরণের পরে ব্যাঙ্কগুলো আবার সরকারের পাশে দাঁড়াতে শুরু করেছিল। তবে বিশেষ লাভ হয়নি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।