'পাকিস্তানে ইভিএম থাকলে নির্বাচনের অনিয়ম হতো না', জেলে বসেই রিগিংয়ের অভিযোগে সরব ইমরান খান

আদিয়ালা কারাগারে বন্দি পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা বলেন, আজ যদি ইভিএম থাকত তাহলে ভোটের অনিয়মের সব সমস্যা এক ঘণ্টার মধ্যে সমাধান হয়ে যেত।

Parna Sengupta | Published : Mar 17, 2024 7:53 AM IST

পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার অনেক দিন হয়ে গেছে। তবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পাকিস্তানের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে, দেশের প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করে বলেছে যে পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াই দুর্নীতিগ্রস্ত। এবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও এই প্রসঙ্গ তুলেছেন। জেলে থাকা ইমরান বলেছেন, পাকিস্তানে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) থাকলে নির্বাচনে এমন দুর্নীতি হতো না।

এক সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলার সময় আদিয়ালা কারাগারে বন্দি পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা বলেন, আজ যদি ইভিএম থাকত তাহলে ভোটের অনিয়মের সব সমস্যা এক ঘণ্টার মধ্যে সমাধান হয়ে যেত। ইমরান বলেন, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন, কিছু রাজনৈতিক দল এবং 'প্রতিষ্ঠান' দেশে ইভিএম চালু করার পরিকল্পনাকে নষ্ট করে দিয়েছে।

'যারা জনমত চুরি করেছে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হওয়া উচিত'

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ইমরান বলেন, যারা সাধারণ নির্বাচনে জনগণের মত চুরি করেছে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার আওতায় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আমেরিকায় আইএমএফ অফিসের বাইরে বিক্ষোভে সমর্থন দেন ইমরান। তবে তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তোলা স্লোগান থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেন।

পাকিস্তানের অর্থনীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ইমরান বলেন, বর্তমান সরকারের পক্ষে সংকটাপন্ন অর্থনীতি সামলানো অসম্ভব। তিনি এটাও অস্বীকার করেছেন যে তার দল অর্থনৈতিক সংকটে দেশ ছেড়েছে। ইমরান খান বলেছিলেন যে ২০১৮ সালে যখন পিএমএল-এন সরকার ছেড়েছিল, তখন বাণিজ্য ঘাটতি ২০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল এবং আমাদের কাছে আইএমএফের কাছে যাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Read more Articles on
Share this article
click me!