হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিডিও বার্তা দিলেন ইমরান। তার দাবি তিনি তাকে হত্যার এই পরিকল্পনা বিষয়ে প্রথম থেকেই অবগত ছিলেন।
প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর উপর গুরুতর হামলার পর এই প্রথম প্রকাশ্যে ইমরান খান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই ভক্তদের উদেশ্যে ভিডিও বার্তা দেন তিনি। ওই ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন , তাকে হত্যার যে পরিকল্পনা করা হচ্ছে সেবিষয়ে অবগত ছিলেন তিনি। শুক্রবার পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদ শহরে এক জনসভায় তার উপর গুলি চালায় এক দুষ্কৃতী। তাকে হত্যার এই পরিকল্পনা কি নিতান্তই একটি ঘটনা নাকি এর নেপথ্যে আছে কোনো পাকিস্তানের গভীর কোনো রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র সে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিস্তর। অবশেষে ইমরান খানের এই ভিডিওবার্তা সেই জল্পনাকে উস্কে দিয়েছে বেশ কয়েকগুন।
পিটিআই প্রধান ওই ভিডিওবার্তায় বলেন , " "আমি হামলার আগের দিন জানতে পেরেছিলাম যে হয় ওয়াজিরাবাদে বা গুজরাটে আমাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে , সেখানে জনসমাবেশ চলাকালীন তারা আমাকে হত্যা করবে -এখবর ছিল আমার কাছে। " হাসপাতালের নীল গাউন পরা অবস্থায় , হাতে একটি ড্রিপ ও পায়ে ক্লাস্ট নিয়েই সরাসরি ভিডিওতে আসেন তিনি। ভিডিওর পিছনে ছিল পাকিস্তানের একটি জাতীয় পতাকা। তিনি এখন " শঙ্কামুক্ত " এবিষয়েও জানান তিনি। তবে সেদিনের ওই গুলি হামলায় ইমরানের শুধু পায়ে গুলি লাগলেও , ওই গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে একজন। এবং আহত হয়েছে ১৩ জন।
যে যুবক সেদিন হামলা চালিয়েছিল তাকে ঘটনাস্থলেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেন , ইমরান পাকিস্তানের গণতন্ত্রকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। সেইজন্যই তিনি ইমরানকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন । তার আরও দাবি ছিল যে আজানের সময় জোরে জোরে মাইক বাজিয়ে কোথাও ইমরান ইসলামের নীতি লঙ্ঘন করেছেন তাই ইমরানকে পুরোপুরি শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিন্তু ঘটনার পর অবশ্য ইমরান তার মহাসচিব উমরের মাধ্যমে দাবি করেন যে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা মন্ত্রী এবং গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর একজন শীর্ষ জেনারেল তাকে হত্যা করার নেপথ্যে দায়ী।
তবে .শেহবাজ শরীফ সরকার পুরো বিস্ময়টিকে সম্পূর্ণ ভুয়ো বলে উড়িয়ে দেন। তিনি ঘটনাটির সুস্থ তদন্তের প্রতিশ্রুতিও দেন।
আরও পড়ুন
চীনের গুপ্তচর জাহাজ প্রবেশ করেছে ভারত মহাসাগরে , কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক
যোগীরাজ্যে ,গত ৫ বছরে ২৬৩৩ টি সড়ক দুর্ঘটনা,তবু হুঁশ ফিরলো না সরকারের