পায়ে গুলিবিদ্ধ ইমরান খান নিজেই কোনও সরকারি হাসপাতালে যেতে চাননি। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে তাঁর মায়ের নামাঙ্কিত ক্যান্সার হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আপাতত স্থিতিশীল প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী।
গুলিবিদ্ধ ইমরান খানের চিকিৎসা চলছে লাহোরে । কোনও সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হননি ইমরান খান। নিজের মায়ের নামাঙ্কিত ক্যান্সার হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন প্রাক্তন পাকিস্তানের প্রধাননন্ত্রী ইমরান খান। আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। পা থেকে বার করা হয়েছে গুলি। বৃহস্পতিবারই পাঞ্জাব প্রদেশে পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ পার্টির চেয়ারম্যানের ওপর প্রাণঘাতী হামলা হয়। তড়িঘড়ি একিটি বুলেট প্রুফ গাড়িতে করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়।
সূত্রের খবর পায়ে গুলি লাগার পরেও ইমরান খানের জ্ঞান ছিল। তিনি নিজেই কোনও সরকারি হাসরাতালে যেতে চাননি। লাহোরের শাউকত খানুম ক্যান্সার হাসপাতালে যাওয়ার কথাই বলেছিলেন। তাঁর ইচ্ছেমত সেখানেই নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে ভর্তির পরই একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়। তারপরই রাতের দিকে মেডিক্যাল টিমের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে ইমরান খানের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে ক্ষত গুরুতর। ক্ষতস্থান বিষিয়ে যাওয়ার একটি সম্ভাবনা ছিল , কিন্তু সেটা হয়নি। তবে আপাতত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বিপদমুক্ত কিন্তু তাঁকে বিশ্রামের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলেও হাসপাতালারে পক্ষ থেকে জানান হয়েছে।
অন্যদিকে হাসপাতালের বেডে শুয়ে ইমরান খান বলেছেন, 'ঈশ্বর আমাকে নতুন জীবন দিয়েছেন।' বৃহস্পতিবার প্রাণঘাতী হামলার পর এটাই ছিল তাঁর প্রথম বয়ান। এদিন সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে ইমরান বলেন, আপাতত তিনি ঠিক রয়েছেন। তবে ইমরান খানের ওপর হামলার ঘটনায় রীতিমত ক্ষুব্ধ তাঁর দলের নেতা কর্মীরা। ইমরানকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করা হয়েছে বলেও দাবি তুলতে শুরু করেছে পিটিআই।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের ওয়াজিরাবাদে দলীয় মিছিলেই ইমরান খানের ওপর হামলা চালায় এক ব্যক্তি। ৭০ বছরের ইমরানের পায়ে গুলি লাগে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তের কাছ থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল আর দুটি খালি ম্যাগাজিন উদ্ধার হয়েছে। প্রথমে পিটিআই-এর সমর্থকরা তাকে গ্রেফতার করে। তারপর তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। তদন্তকারী সূত্রের খবর পিটিআই- এর জাতীয় পরিষদের সদস্য আলমগীর খানের গার্ড হিসেবে একটা সময় কাজ করেছেন। ইতিমধ্যেই পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পারভেজ এলাহি গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘটনার পিছনে যারা রয়েছে তাদের গ্রেফতার করা হবে। কাউকেই ছাড়া হবে না বলেও তিনি জানিয়েছেন। নাম মহম্মদ নাভিদ। অভিযুক্তের লাল-সাদা-কালো স্ট্রাইপ দেওয়া টি-শার্ট পরা ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। যাইহোক। তদন্তে সামনে এসেছে অভিযুক্তের বাবার নামও। মহম্মদ বশিরের ছেলে মহম্মদ নাভিদ। তারা ওয়াজিরাাদের সোধরা জেলার বাসিন্দা।
কোচবিহারে নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলা, বিজেপি কাঠগড়ায় দাঁড় করাল তৃণমূলকে
চাকরি থাকবে - না যাবে? ইমেলের অপেক্ষায় আতঙ্কের প্রহর গুণছেন টুইটারের কর্মীরা
ফুল দেওয়ার নাম করেই ইমরান খানকে গুলি, রইল হামলাকারীর বিস্তারিত পরিচয়