ইমরান খান তাঁর লাহরের জামান পার্কের বাড়িতে তল্লাশির পরোয়ানাকেও সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। বিচারক জানিয়েছে এই বিষয়ে পরবর্তীকালে শুনানি হবে।
লাহরের সেনা বাহিনীর দফতরে হামলা-সহ চারটি সন্ত্রাসবাদী মামলায় লক্ষ টাকার মুচলেকা জমা দিয়ে আপাতত রেহাই পেলেন ইমরান খান। তাঁর ২ জুন পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার কড়া নিরাপত্তায় ইমরাম খানকে লাহরের সন্ত্রাসবাদী বিরোধী আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক ইজাজ আহমেদ বাটার ইমরান খানকে আপাতত রেহাই দিয়েছেন বলেও জানিয়েছে আদালতের এক কর্মকর্তা। পাকিস্তানের তেহরিক - ই -ইনসাফ পার্টির নেতা ৭০ বছরের ইমরান খানকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে আদালতে পেশ করা হয়। এদিন তাঁর আদালতে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই আইনজীবীরা তাঁর পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন।
অন্যদিকে ইমরান খান তাঁর লাহরের জামান পার্কের বাড়িতে তল্লাশির পরোয়ানাকেও সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। বিচারক জানিয়েছে এই বিষয়ে পরবর্তীকালে শুনানি হবে। আর সেই শুনানির সময় পঞ্জাব পুলিশের ডিআইজিকে আদালতে তলব করা হয়েছে। তাঁরেও ইমরান খানের বাড়ির তল্লাশির বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
৯ মে আদালত থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল ইমারান খানকে। যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছিল। ইমরানের অনুগামীরা সেনা দফতর ও আদালতে ভাঙচুর করে। গোটা দেশেই অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। আইএসআই ভবন-সহ প্রায় ২০টি সামরিক অফিস ও সরকারি অফিসে ইমরানের অনুগামীরা ভাঙচুর চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। রাওলপিণ্ডিতে সেনা দফতরেও এই প্রথম দেশের মানুষ হামলা চালায়। তবে ইমরান খান অবশ্য পরবর্তীকালে জামিনে মুক্তি পান। কিন্তু তাঁর অনুগামীদের ভাঙচুর করার ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে দেশের একাধিক আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেগুলিতেই হাজিরা দিতে হচ্ছে তাঁকে।
অন্যদিকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখনও পর্যন্ত ইমরানের দলের ১০ হাজার কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ৪ হাজার পঞ্জাবের বাসিন্দ। হামলার ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। যদিও ইমরানের দাবি মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৪০ জন তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির সদস্যের। দুই আইনজীবী লাহোরের জিন্নাহ হাউস নামে পরিচিত কর্পস কমান্ডার হাউসে হামলার তদন্তকারী যৌথ তদন্ত দলের সামনে হাজির হন। আদালতের নির্দেশেই তারা হাজিরা দেন। এদিনও ইমরানের উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সন্ত্রাসবাদ বিরোধীা আদালতে হাজিরা দেওয়ার কারণে তিনি তাঁর আইনজীবীদের যৌথ তদন্ত দলের কাছে পাঠান। যদিও এদিন ইমরানও আদালতে সশরীরে হাজারা দেওয়ার পরিবর্তে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি আদালত।
আরও পড়ুনঃ
'আমি এসব জানি না, স্থানীয় ব্যাপার'- বায়রন বিশ্বাসের দলবদল প্রসঙ্গে মন্তব্য মমতার
হিংসায় বিধ্বস্ত মণিপুর যেতে চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি মমতার, আক্রন্তদের পাশে দাঁড়াতে চান মুখ্যমন্ত্রী
আরব লিগে সিরিয়ার প্রত্যাবর্তন- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দেবে