সংক্ষিপ্ত
বায়রন বিশ্বাসের দল বদলের ২৪ ঘণ্টা পরে মমতা বললেন তিনি এসব কিছুই জানেন না। গোটা বিষয়টা নাকি স্থানীয় ব্যাপার।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচির মধ্যেই কংগ্রেস ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস। তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। আঁচ পড়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। বিজেপি বিরোধী ঐক্যের কী হবে তাই নিয়ে যখন জল্পনা তুঙ্গে তখনই বায়রন বিশ্বাসের দলবদবল নিয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকের মধ্যেই এই দল বদল নিয়ে নিজের মতামতও জানান মমতা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা জানিয়ে দেন তিনি বায়রন বিশ্বাসের দলবদল প্রসঙ্গে কিছুই জানেতেন না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে বলেন, বায়রন বিশ্বাসের দলবদল সম্পর্কে তাঁর কিছুই জানা নেই। 'এসব স্থানীয় ব্যাপার। আমি এসব জানি না। স্থানীয় নেতৃত্বকে জিজ্ঞাসা করুন। আমিও কাগজে দেখে জানতে পারেছি। আমি এগুলো করি না। দলের নানা সিস্টেম রয়েছে । ব্লক স্তর করছে। ওদের জিজ্ঞাসা করুন। আমাকে নয়। ' বায়রন বিশ্বাসের কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ নিয়ে দলের মধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিরোধীরা তীব্র সমালোচনা করেছে। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে কংগ্রেসের টিকিটে বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে মাত্র তিন মাসের মধ্যেই তিনি শিবির বদল করেছেন।
তবে বায়রনের দল বদল নিয়ে বিজোপি বিরোধী ঐক্য নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিন সেই প্রশ্নেরও উত্তর দেন মমতা। তিনি বলেন, 'বাম-রাম - শ্যাম কখনও কুকাজ - অকাজ থেকে বিরত হয়? চিরকাল ওরা এক , একই থাকবে। ওদেন এক থাকতে দিন। একই মালার তিনটি ফুল ওরা। ফুল তো নয় কাঁটা, বাবা গাছ আর কুল গাছের কাঁটা। ওরা খারাপ ছাড়া ভালোর চিন্তা করে না। ওদের নিয়ে ভাববার সময় আমাদের নেই।'
এদিন সকালেই কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বায়রন বিশ্বাসের দলবদলকে তৃণমূল কংগ্রেসের চোরা শিকারের সঙ্গে তুলনা করে রীতিমত কটাক্ষ করেছেন। পাশাপাশি মমতার এই কাজে বিরোধী ঐক্যে যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বলেছেন, 'বায়রন বিশ্বাস ঐতিহাসিক জয়ের সাক্ষী। কিন্তু তাঁর নির্বাচিত হওয়ার মাত্র তিন মাসের মধ্যেই তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রলুব্ধ করেছে। সাগরদিঘির মানুষের রায়ের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সম্পূর্ণ বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।' গোয়া, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও অন্যান্য রাজ্যে এর আগে ঘটে যাওয়া এই ধরনের চোরা শিকার বিরোধী ঐক্যকে শক্তিশালী করার জন্য পরিকল্পনা করা হয়নি। এই কাজের একমাত্র উদ্দেশ্যই হল বিজেপির হাত শক্ত করা।
জয়রাম রমেশের পাল্টা জবাব দিয়েছেন ডেরেক কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন সত্ত্বেও কংগ্রেস বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার কথা বলেছেন। দুই সপ্তাহ আগে কংগ্রেসের বিবৃতি। কংগ্রেস বিরোধী ঐক্যে আস্থাভঙ্গ করে বিরোধীদের কাছ থেকে গোলাপের তোড়া আশা করে। আর বিজেপিকে শক্তিশালী করার কথা?' তিনি লিখেছেন কংগ্রেসের এবার উচিৎ দয়া করে বড় হওয়া। একই সঙ্গে জয়রাম রমেশের টুইটটিও জুড়ে দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ
হিংসায় বিধ্বস্ত মণিপুর যেতে চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি মমতার, আক্রন্তদের পাশে দাঁড়াতে চান মুখ্যমন্ত্রী
বায়রন বিশ্বাসের দলবদল নিয়ে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি, ডেরেকের নিশানায় জয়রাম রমেশ
Bayron Biswas: 'আমার জয়ের পেছনে কংগ্রেসের কোনও অবদান ছিল না', 'হাত' ছাড়তেই বিস্ফোরক বায়রন