সংক্ষিপ্ত

গুলিবিদ্ধ ইমরান খান লাহোরের হাসপাতালে ভর্তি। হামলাকারী ফুল দেওয়ার নাম করেই কাছে গিয়েছিল। তারপরই গুলি চালায়। হামলার ঘটনায় আহত ৭। সূত্রের খবর ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

 

পঞ্জাব প্রদেশের মিছিলের মধ্যেই গুলিবিদ্ধ পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর পায়ে গুলি লেগেছে। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। ইমরান খানকে গুলি করায় মূল অভিযুক্ত মোহম্মদ নাভিদ। পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ পার্টির অভ্যর্থনা শিবিরের কাছেই এই ব্যক্তি গুলি চালিয়েছিল। যেখানে গুলি চালিয়েছিল সেই এলাকার নাম হল গুজরাওয়ালার আল্লাহর চক।

জানুন সন্দেহভাজন সম্পর্কেঃ

নাম মহম্মদ নাভিদ। অভিযুক্তের লাল-সাদা-কালো স্ট্রাইপ দেওয়া টি-শার্ট পরা ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। যাইহোক। তদন্তে সামনে এসেছে অভিযুক্তের বাবার নামও। মহম্মদ বশিরের ছেলে মহম্মদ নাভিদ। তারা ওয়াজিরাাদের সোধরা জেলার বাসিন্দা।

উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্রঃ

অভিযুক্তের কাছ থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল আর দুটি খালি ম্যাগাজিন উদ্ধার হয়েছে। প্রথমে পিটিআই-এর সমর্থকরা তাকে গ্রেফতার করে। তারপর তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। তদন্তকারী সূত্রের খবর পিটিআই- এর জাতীয় পরিষদের সদস্য আলমগীর খানের গার্ড হিসেবে একটা সময় কাজ করেছেন। ইতিমধ্যেই পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পারভেজ এলাহি গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘটনার পিছনে যারা রয়েছে তাদের গ্রেফতার করা হবে। কাউকেই ছাড়া হবে না বলেও তিনি জানিয়েছেন।

ফুলের বদলে গুলিঃ

তদন্তকারী সূত্রের খবব ফুল দেওয়ার নাম করেই ইমরান খানের কাছে গিয়েছিল মহম্মদ নাভিদ। তারপরই এলোপাথাড়ী গুলি চালায়। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী এই ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। ইমরান খানকে নিয়ে আহতের সংখ্যা ৭। এই দুর্ঘটনার পরই ইমরান খানকে একটি বুলেটপ্রুফ কন্টেনারে করে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় গুরুতর চোট পেয়েছেন ইমরান খানের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত ফাওয়াদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন দুবৃত্তরা একে ৪৭ দিয়ে ইমরান খানের ওপর গুলি চালায়। এটি পরিকল্পিত হামলা। ইমরান খানকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ইমরান খানকে লাহোরের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ

নভেম্বরে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ম্যান্দোস, জানুন কোন পথে ধেয়ে আসতে পারে এই সাইক্লোন

প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপর প্রাণঘাতী হামলা, আহত দলের আরও নেতা

'ভারতকে হারালেই তোমাদের কাউকে বিয়ে করব', জিম্বাবোয়ের ক্রিকেটারদের উদ্দেশ্যে বার্তা পাক অভিনেত্রীর

চাপান উতোর লেগেই রয়েছে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর জীবনে। উপনির্বাচনে দুর্দান্ত ফলাফল করার পরেও ইমরান খানের ভাগ্য যে সুপ্রসন্ন নয় তা আবার প্রামাণিত হল পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের রায়ের। পুরনো একটি মামলায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অযোগ্য ঘোষণা করেছে কমিশন।

ক্ষমতাসীন জোট সরকারের আইনপ্রণেতারা ইমরান খানের বিরুদ্ধে অগস্টে একটি মামলা দায়ের করেন। রাষ্ট্রীয় ভাণ্ডার তোশাখানা থেকে ডিসকাউন্ট মূল্যে কেনা উপহার বিক্রি থেকে ইমরান খান কী পরিমাণ অর্থ পেয়েছেন বা আয় প্রকাশ করতে ব্যার্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়। এই মামলার দীর্ঘ শুনানির পর পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে 'ইমরান খান আর জাতীয় পরিষদের সদস্য নন। ' ইমরান খানের আসনটি শূন্য ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইন ব্যবস্থা নেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইমরান খান ২০১৮ সালে পাকিস্তানের মসনদে বসেছিলেন। সরকারি সফরের সময় তিনি ধনী আবর শাসকদের কাছ থেকে প্রচুর দামি দামি উপহার পেয়েছিলেন। যা জমা ছিল পাকিস্তানের তোশাখানায়। পরবর্তীকালে তিনি পাকিস্তানের তোশাখানার আইনকানুন না মেনেই সেইসব জিনিস কেনেন আর তা মোটা লাভের অঙ্কে বিক্রি করেন।