অভাবের তাড়নায় আত্মহত্যা ও খুনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। মাঝেমধ্যেই এরকম মারাত্মক খবর পাওয়া যায়। এবার পাকিস্তানে এরকমই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে।
পরিবারে স্ত্রী ও ৭ সন্তান। চরম আর্থিক সমস্যার জেরে সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছিল না। দুঃখ ও হতাশায় সবাইকে খুন করে ফেলল এক ব্যক্তি। এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুজফফরনগর জেলার আলিপুর অঞ্চলে। লাহোর থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে এই অঞ্চল। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম সাজ্জাদ খোকর। সে স্ত্রী ও সন্তানদের খুনের কথা স্বীকার করেছে। তার স্ত্রীর নাম কওসর। তাঁর বয়স ৪২ বছর। তাঁদের ৪ মেয়ে ও ৩ ছেলে ছিল। সাজ্জাদ ও কওসরের সন্তানদের বয়স ৮ মাস থেকে ১০ বছরের মধ্যে ছিল। পরিবারের সবাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে সাজ্জাদ। সেই আঘাতেই তার স্ত্রী-সন্তানদের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ। তিনি পুলিশের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন।
অভাবের তাড়নায় মারাত্মক অপরাধ!
মুজফফরনগর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মজুরের কাজ করে সাজ্জাদ। সে জেরায় জানিয়েছে, আর্থিক অনটনের জেরেই পরিবারের সবাইকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরিবারের নানা সমস্যা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তার প্রায়ই ঝগড়া হত। এর জেরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল সাজ্জাদ। আর্থিক সমস্যা মেটানোর কোনও উপায় খুঁজে না পেয়ে চরম পথ বেছে নেয় সে। পুলিশি জেরায় সাজ্জাদ জানিয়েছে, সন্তানদের খেতে দিতে পারছিল না বলেই সে সবাইকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
পাকিস্তানে আর্থিক মন্দা চরমে
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ আর্থিক মন্দা দূর করার জন্য নানা উদ্যোগের কথা বলছেন। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারও নানা বিধিনিষেধ জারি করেছে। কিন্তু তারপরেও পাকিস্তানের বেহাল আর্থিক অবস্থার কোনও বদল হচ্ছে না। এর ফলেই এরকম বিপর্যয় ঘটে চলেছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
পঞ্জাব পুলিশ স্টেশনে হামলা চালাল সেনা! প্রচন্ড মার পুলিশকর্মীকে, দেখুন ভয়ঙ্কর ভিডিও
পাকিস্তানে ভয়াবহ আর্থিক অবনতি! দারিদ্র সীমার নিচে চলে যেতে পারেন আরও এক কোটি মানুষ
Pakistan: রমজান মাসে বাড়ছে চুরি, ছিনতাই, মসজিদে নাবালকদের যৌন নিগ্রহ, সরব পাক নাগরিকরা