ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার জন্য বেলারুশে একটি প্রতিনিধি দল পাঠাতে প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানালেন রাশিয়ার প্রসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান ঘোষণার দ্বিতীয় দিনে আলোচনা চেয়ে সুর নরম করলেন তিনি।
আগেই আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি হয়েছিল ইউক্রেন (Ukraine)। অন্যদিকে ইউক্রেন অস্ত্র সংবরণ (Laid Down Arms) করলে, আলোচনা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছিল রাশিয়া (Russia)। যদিও তারপরই ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার জন্য বেলারুশে (Belarus) একটি প্রতিনিধি দল পাঠাতে প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানালেন রাশিয়ার প্রসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান (Military Operation) ঘোষণার দ্বিতীয় দিনে আলোচনা চেয়ে সুর নরম করলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান ঘোষণা করেন পুতিন। তারপর থেকেই ইউক্রেনের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয় হামলা। গুলি থেকে শুরু করে ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ সবই চলছে। রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে সেখানে। হামলার জেরে ইতিমধ্যেই সেখানে অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে। ধীরে ধীরে একের পর এক শহরও দখল করে নিচ্ছে রাশিয়া। ইউক্রেনের রাজধানী কিভের বিমানবন্দরও রাশিয়ার দখলে চলে গিয়েছে। আর এই পরিস্থিতির মধ্যেই আলোচনা চেয়ে প্রতিনিধি পাঠানোর কথা ঘোষণা করলেন পুতিন।
আরও পড়ুন- আটকে থাকা ভারতীয়দের জন্য সুখবর, উদ্ধার করতে ইউক্রেনে ২টি বিমান পাঠাচ্ছে কেন্দ্র
এ প্রসঙ্গে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ (Dmitry Peskov) বলেন, বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে একটি ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি রয়েছেন তাঁরা। এর আগেও এই দলের সঙ্গে ইউক্রেন সংকট নিয়ে কয়েক দফা আলোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এদিনই রাশিয়ার সামনে আলোচনার প্রস্তাব এনেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। অন্যদিকে, চিনের তরফে জানানো হয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে চিনের প্রেসিডেন্টের কথা হয়েছে। পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি রয়েছেন।
আরও পড়ুন- ইউক্রেন- রাশিয়ার উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝে পুতিনকে শান্তির পথে আসার উপদেশ তালিবানদের
রাশিয়ার সামনে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, "আসুন আমরা আলোচনার টেবিলে বসি। যেন আলোচনা করে মানুষের প্রাণ বাঁচাতে পারি।" যদিও আলোচনায় বসার জন্য শর্ত দিয়েছিল রাশিয়া। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ইউক্রেন অস্ত্র সংবরণ করলে তবেই তাঁরা আলোচনায় বসবে। যদিও ইউক্রেন আত্মসমর্পণ করবেন কিনা সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। কারণ, ইউক্রেনের বর্তমান সরকারকে মেনে নিতে রাজি নয় রাশিয়া। তারা চায় ইউক্রেনে নতুন সরকার তৈরি হোক।
আরও পড়ুন- ইউক্রেন অস্ত্র সংবরণ করলেই আলোচনায় রাজি, বললেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী
এদিকে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের আলোচনার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে বেলারুশের তরফে। এ প্রসঙ্গে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেন, এই ধরনের শীর্ষ সম্মেলনের জন্য "পরিস্থিতি তৈরি করবেন" তিনি। এই পরিস্থিতিতে চিনের তরফেও জানানো হয়েছে, ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কথা হয়েছে। পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি।