হারজোত সিং জানিয়েছেন ২৭ ফেব্রুয়ারি তাঁরা তিন জন মিলে একটি ক্যাবে করে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মাঝ রাস্তায় নিরাপত্তার কারণে তাদের যেতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। ফিরে আসতে বাধ্য হন। সেই সময়ই তাঁদের গাড়ি লক্ষ্যে করে গুলি ছোঁড়া হয়। তাতেই জখম হন তিনি। ভর্তি করা হয় কিয়েভের হাসপাতালে।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত কিয়েভের হাসপাতালে (Kyiv Hospital) শুয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বোমা ফাটালেন ভারতীয় ছাত্র হারজত সিং(indian student Harjot Singh)। তাঁর অভিযোগ এখনও পর্যন্ত ভারতীয় দূতাবাস থেকে কোনও সাহায্য তিনি পাননি। তবে তিনি একাধিকভার ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন। আর প্রত্যেক বারই তিনি ব্যর্থ হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন। কিন্তু ভারতী দূতাবাস প্রতিদিনই তাঁকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করে। প্রতিদিনই বলে তারা কিছু করবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তিনি কোনও সাহায্যই পাননি। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে একাধিক বুলেটের আঘাতে তিনি আহত হয়েছেন। ভর্তি রয়েছেন ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের একটি হাসপাতালে।
হারজোত সিং জানিয়েছেন ২৭ ফেব্রুয়ারি তাঁরা তিন জন মিলে একটি ক্যাবে করে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মাঝ রাস্তায় নিরাপত্তার কারণে তাদের যেতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। ফিরে আসতে বাধ্য হন। সেই সময়ই তাঁদের গাড়ি লক্ষ্যে করে গুলি ছোঁড়া হয়। তাতেই জখম হন তিনি। ভর্তি করা হয় কিয়েভের হাসপাতালে। তাঁর অভিযোগ সরকার তাদের দেশে ফেরাতে তেমন কোনও উদ্যোগ নেয়নি। হরজোত সিংএর কথায় মৃত্যুর পরে চার্টার বিমান পাঠিয়ে কোনও লাভ হবে না। ভগবানের কাছে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। ঈশ্বর তাঁর প্রাণ বাঁচিয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন যুদ্ধের ইউক্রেন থেকে তিনি বেঁচে ফিরতে চান। এখনও তিনি ভারতীয় দূতাবাসের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা যদি কিয়েভের হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে দেয়।
হরজোত সিং এর আরও অভিযোগ কিয়েভ স্টেশন থেকে তাঁদের ট্রেনে উঠতে দেওয়া হয়নি। সেই কারণে তিনি গাড়িতে করেই সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি আরও জানিয়েছেন ইউক্রেনের সব বড় শহরগুলি রাশিয়ান আক্রমণে বিপর্যস্ত। খাবার, পাণীয় আর ওষুধের চূড়ান্ত অভাব রয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছে, তিনি লাভিবে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কেউ তাঁকে কোনও রকম সাহায্য করেনি। তিনি আরও জানিয়েছেন ভারতে ফিরতে আগ্রহী তিনি। পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চান। তাঁর কাঁধে গুলি লেগেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন বরিবার থেকেই তিনি এই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এই হাসপাতালটি থেকে ভারতীয় দূতাবাস যেতে সময় লাগে ২০মিনিট। তিনি আরও জানিয়েছেন আরও অনেক ছাত্র এখনও কিয়েভে আটকে রয়েছে। দ্রুত তাদের সকলকে উদ্ধারের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
রুশ হামলার পরে কী অবস্থা ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক চুল্লির, জানাল এটমিক এনার্জি সংস্থা
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে উঠছে চেরনোবিল বিপর্যের কথা, জানুন ৩৬ বছর আগে পরমাণু কেন্দ্রে কী হয়েছিল
ব্রিটেনের দুই রুশ তেল-কুবেরের শেয়ার ফ্রিজ, পুতিনকে কোনঠাসা করতে নতুন উদ্যোগ