ইউক্রেনর প্রশাসন দাবি করেছে রুশ সেনা এদিন বেলারুশ সীমান্তে অবস্থিত ইউরোপের বৃহত্তর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র লক্ষ্য করে চলছে গুলি বর্ষণ ও শেলিং। যা উস্কে দিয়েছিল ৩৬ বছর আগের চেরনোবিল বিপর্যয়ের স্মৃতি।
ইউক্রেনে (Ukraine) অবস্থিত ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে (europe largest nuclear plant) হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। গোটা বিশ্বেই পারমাণবিক বিস্ফোরণের আশঙ্কায় আতঙ্কতিত হতে শুরু করেছিল। এই অবস্থায় কিছুটা হলেও আশার কথা শুনিয়েছে ইন্টারন্যাশানাল এটমিক এনার্জি এজেন্সি (IAEA)। সংস্থার পক্ষ থেকে টুইট করে জানান হয়েছে ইউক্রেনের পারমাণবিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছেন রুশ সেনাদের ক্রমাগত গুলি বর্ষণের পরেও ঝাপরিজিয়ার পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরণের মাত্রায় তেমন কোনও পরিবর্তন দেখা যায়নি।
ইউক্রেনর প্রশাসন দাবি করেছে রুশ সেনা এদিন বেলারুশ সীমান্তে অবস্থিত ইউরোপের বৃহত্তর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র লক্ষ্য করে চলছে গুলি বর্ষণ ও শেলিং। যা উস্কে দিয়েছিল ৩৬ বছর আগের চেরনোবিল বিপর্যয়ের স্মৃতি।
এদিন সংস্থার পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানান হয়েছে, সংস্থার প্রধান মারিয়ানো গ্রসি ইুক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ও ইউক্রেনের পরমানুর নিয়ন্ত্রক ডেনিস শ্মিগামের সঙ্গে ঝাপরিঝিয়া প্ল্যান্টের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। একই সঙ্গের প্ল্যান্টের আপারেটরদের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে বলেও সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে।
গ্রেসি রাশিয়ার কাছে চুল্লি রক্ষার আবেদে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি শক্তির ব্যবহার বন্ধ করারও আর্জি জানিয়েছেন। গ্রেসি জানিয়েছেন প্ল্যান্টের বর্তমান পরিস্থিতি অত্যান্ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভালোদিমির জেলেনস্তির অফিসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পারমাণবিক চুল্লিগুলির এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। বিকিরণের মাত্রাও স্বাভাবিক রয়েছে।
রাশিয়া- ইউক্রেনের যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) নবমতম দিন থেকে আরও ভঙ্কর । ইউক্রেনে ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে জাপোরিঝিয়ায় (zaporozhzhia nuclear power plant) হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ভারতীয় সময় বৃহস্তপতিবার রাত থেকে ক্রমাগত গুলি চালাচ্ছে রাশিয়ান সেনারা। যা নিয়ে ইউক্রেন সতর্কতা জারি করেছে। এনারগোদার প্ল্যান্টের মুখপাত্র আন্দ্রি টুজ, জানিয়েছেন, এটি ইউক্রেনের সবথেকে বড় পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্র। ইউক্রেনের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার এক চতুর্থাংশ এই কেন্দ্রই মেটায়। তাই এই কেন্দ্র লক্ষ্য করে রাশিয়ান সেনদের গুলি গোলা চালানো বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন এই কেন্দ্রটিতে সংস্কারের কাজ চলছে। এখানে এখন কোনও উৎপাদন হচ্ছে না। তিনি আরও সতর্ক করে রাশিয়াকে বলেছেন এই কেন্দ্র প্রচুর পরিমাণে পরমাণু মজুত রয়েছে। তাই রুশ সেনাদারে এই কাণ্ডজ্ঞাণহীনের মত হামলা যে কোনও সময়ই বড়ৃসড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।
যুদ্ধের ইউক্রেনে মানবতার নজির এক ভারতীয়র, খুলে দিলেন রেস্তোরাঁর দরজা
ব্রিটেনের দুই রুশ তেল-কুবেরের শেয়ার ফ্রিজ, পুতিনকে কোনঠাসা করতে নতুন উদ্যোগ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে পঞ্চম বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী