সংক্ষিপ্ত

লর্ড ডেভিস সংস্থার মালিক ও প্রাক্তন মন্ত্রী জানিয়েছেন মিখাইল ফ্রিডম্যান ও পেটার অ্যাভেন কোম্পানির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখছেন না। তাদের শেয়ার ফ্রিজ করা হয়েছে। সেই কারণে দুই রুশ তেল কুবের সংস্থার লাভের অংশ, খরচ, সংস্থা সম্পর্কে কোনও তথ্য বা ব্যবসায়ের অ্যাক্সেস পাবে না। 
 

ইউক্রেন (Ukraine) দখলে যতই আগ্রাসী ভূমিকা গ্রহণ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin), ততই তাঁর ওপর চাপ বাড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক মহল। এবার ব্রিটেনে (Britain) দুই রাশিয়ার তেল কুবেরের (Russian oligarchs) শেয়ার  ফ্রিজ করা হল।  রাশিয়ার অলিগার্চ (Russian oligarchs ) হিসেবে পরিচিত মাখাইল ফ্রিডম্যান ও পেটার অ্যাভেনের প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের শেয়ার ফ্রিজ করা হয়েছে। লেটার ওয়ান সংস্থায় তাদের শেয়ার ছিল। যেটির মূল মালিক হল্যান্ড অ্যান্ড ব্যারেট। ল্যাটারওয়ানে ফ্রিডম্যান ও অ্যাভেনের মালিকানাধীন শেয়ার ছিল মাত্র ৫০ শতাংশেরও কম। বুধবার রাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও সংস্থা সূত্রের খবর। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার কয়েক দিন পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে আরও জানান হয়েছে, দুই রুশির সঙ্গে কোম্পানি আপাতত সম্পর্ক রাখবে না। 

লর্ড ডেভিস সংস্থার মালিক ও প্রাক্তন মন্ত্রী জানিয়েছেন মিখাইল ফ্রিডম্যান ও পেটার অ্যাভেন কোম্পানির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখছেন না। তাদের শেয়ার ফ্রিজ করা হয়েছে। সেই কারণে দুই রুশ তেল কুবের সংস্থার লাভের অংশ, খরচ, সংস্থা সম্পর্কে কোনও তথ্য বা ব্যবসায়ের অ্যাক্সেস পাবে না। 

ফ্রিডম্যান ও অ্যাবেনকে সোমবারই ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রাখা হয়েছিল। ইংল্যান্ড বা আমেরিকা এখনও তার ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। ফ্রিডম্যান বর্তমানে ব্রিটেনের বাসিন্দা হলেও তিনি রাশিয়ার ধনকুবেরদের মধ্যে অন্যতম। পুতিনের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে তাঁর অবাধ যাতায়াত রয়েছে। রাশিয়াকে নানাভাবে তিনি আর্থিক সাহায্য়ও করে থাকেন। 

অন্যদিকে অ্যাভেন পুতিরেনর নিটকতম তেল-কুবেরদের মধ্যে অন্যতম। রোসনেফ্টের প্রধান ইগর সেচিনের বিশেষ বন্ধু তিনি। রাশিয়ার প্রথম ৫০ ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হলেন অ্যাভেন। তিনি নিয়মিত ক্রিমলিনে পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন। 

যদিও এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ হওয়ার পরই দুই ধনকুবের রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বা ক্রেমলিনের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছেন। জানিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। যেসবকারণে তাঁদের শেয়ার ফ্রিজ করা হয়েছে তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলেও দাবি করা হয়েছে। তাঁরা দুজনেই জানিয়েছে এই মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাবেন। তাঁদের বিরুদ্ধে যাঁরা ষড়যন্ত্র করেছেন তাদেরই চিহ্নিত করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাবেন। 

সানডে টাইমের তালিকায় অনুযায়ী ফ্রিডম্যান ১১তম ধনী ব্যক্তি। প্রায় ১১ বিলিয়ন সম্পত্তির মালিক তিনি। লন্ডনের হাইগেটে প্রায় ৬৫ মিলিয়নের রাজ প্রাসাদে থাকেন। অ্যাভেনের আনুমানিক সম্পত্তির পরিমাণ ৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভার্জিনিয়া ওয়াটারের কাছে ইংলিস্টন হাউসের মালিক তিনি। ওয়েন্টওয়ার্থ গলফ কোর্সের পাশে ৮.৫ একরের একটি গেটেড এস্টেট রয়েছে তাঁর।