মুরের দাবি রাশিয়া এই সত্যটিকে কোনোভাবেই আন্তর্জাতিক মহলের কাছ থেকে আড়াল করতে পারে না। সঠিক তথ্য একদিন ঠিকই সামনে আসবে।অন্যদিকে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সচিবের সাফ দাবি রাশিয়ার ইউক্রেন দখলের ইচ্ছার কারণেই এই হামলা।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আতঙ্কে গোটা বিশ্বই। এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার বিষয়ে বড় দাবি করেছেন ব্রিটেনের সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের (এমআই৬) প্রধান রিচার্ড মুর। যা নিয়ে ফের তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে। একটি টুইট বার্তায় মুর বলেছেন মার্কিন ও ব্রিটেনের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ইউক্রেনের নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পরিকল্পনার কথা আগেই জানত। তাঁর সাফ দাবি পুতিনের এই যুদ্ধের পরিকল্পনা অনেক আগেই স্থির হয়েছিল। সহজ কথায় রিচার্ড মুর ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলাকে "বিনা উস্কানি ও নৃশংস" বলেও কটাক্ষ করেছেন। সেই সঙ্গে রাশিয়ান কূটনীতিকদের অভিসন্ধি নিয়েও তোপ দাগেন তিনি।
মুরের দাবি রাশিয়া এই সত্যটিকে কোনোভাবেই আন্তর্জাতিক মহলের কাছ থেকে আড়াল করতে পারে না। সঠিক তথ্য একদিন ঠিকই সামনে আসবে।অন্যদিকে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সচিবের সাফ দাবি রাশিয়ার ইউক্রেন দখলের ইচ্ছার কারণেই এই হামলা। ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেস এই প্রসঙ্গে সহজ ভাবেই বলছেন, “রাশিয়া পুরো ইউক্রেনের দখল নিতে চায় কিন্তু তার সামরিক বাহিনী এখনও পর্যন্ত তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করেছে রাশিয়া। একই সময়ে, ইউক্রেন দাবি করেছে যে আমাদের সেনাবাহিনী ১ হাজারে এরও বেশি রুশ সেনাকে হত্যা করেছে। যা খেয়াল রাখার মতো বিষয়।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন নিয়ে এদিন মধ্য রাতেই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে। জানা গিয়েছে ভারতীয় সময় রাত ১টা নাগাদ রাশিয়া-ইউক্রেন নিয়ে বৈঠকে বসছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে। যা নিয়ে নানা চাপানউতর অব্যাহত রয়েছে গোটা বিশ্বজুড়ে।
আরও পড়ুন- পুরভোটের আবহে তপ্ত বাংলার মাটি, শেষ দিনের প্রচারে বড় চমক একাধিক জেলায়
সূত্রের খবর, এই ভোটাভুটিতে অংশ নিচ্ছে ভারত-সহ ১৫টি দেশ। যেদিকে নজর রয়েছে গোটা বিশ্বের। এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দাবি ছিল, যুদ্ধ নয়, সামরিক অভিযান করছে তাঁর সেনা। ইউক্রেনের সামরিক ঘাঁটিগুলিই তাঁর সেনাবাহিনীর মূল লক্ষ্য। সে দেশের সাধারণ মানুষের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হবে না। যদিও বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ অন্য কথা বলছে। এদিকে ইতিহাস বলছে জীবনের শুরুতে পুতিন ছিলেন দুঁদে গুপ্তচর। বর্তমানে তিনি রাশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রেসিডেন্ট। এমনকী বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রনায়কদের মধ্যে একজন। তাঁর হাত ধরেই অবশেষে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের রক্তস্নাত স্মৃতি ফের গোটা বিশ্বকে বইতে হয় কিনা এখন সেটাই দেখার।