আফগানিস্তানের মহিলা জেলা শাসক সালিমা মাজারির কোনও খোঁজ নেই। তালিবানরা বন্ধি করেছিল তাঁকে। মহিলা জেলা শাসক রুখে দিয়ে তালিবানদের অগ্রগতি।
তালিবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে শান্তি কথা বলছে। শরিয়া আইন মেনে মহিলাদের অধিকার প্রদান করার কথাও বলেছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ঠিক উল্টো ছবি। কারণ ক্ষমতা দখলের পরই তালিবানরা বন্দি করেছে বালখের মহিলা জেলা জেলা শাসক সালিমা মাজারিকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তেমনই একটি ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। সালিমা মাজারির নেতৃত্বে গত বছর প্রায় শতাধিক তালিবান আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিল। পাশাপাশি সালিমা তালিবানদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধও গড়ে তুলেছিলেন। সবমিলিয়ে সালিমার ওপর চূড়ান্ত রাগ রয়েছে তালিবানদের। তাই তাঁকে হত্যা করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সালিমা মাজারিঃ আফগানিস্তানের গুটিকয়েক মহিলা জেলা শাসকের মধ্যে একজন হলেন মাজারি। তিনি একটা সময় তালিবানদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। রীতিমত আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তুলে লড়াই করেছিলেন সালিমা।
এখনও পর্যন্ত জেলাশাসক সালিমা মাজারি সম্পর্কে তেমন কোনও তথ্য জানা যায়নি। তাঁর অবস্থান নিয়েও কোনও কথা বলেনি তালিবানরা। তবে মহিলা হলেও সালিমা ময়দান ছেড়ে পালিয়ে যায়নি। আত্মসমর্পণের আগে পর্যন্ত নিজের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। সেলিমার সহকর্মীরা জানিয়েছেন, যখন তালিবাদের হাতে আফগানিস্তানের পতন আসন্ন তখনও পর্যন্ত বালখ প্রদেশেই ছিলেন সালিমা। চাহারকিন্ট জেলায় তালিবানদের প্রতিহত করার জন্য কঠোর পদক্ষেপও গ্রহণ করেছিলেন। তালিবানদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিবাদ গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু সবকিছুই উড়িয়ে দিয়ে তালিবানরা বালখ প্রদেশ দখল করে নেয়। তবে চাহার কিন্ট ছিল একমাত্র মহিলা নিয়ন্ত্রিত জেলা যেখানে তালিবানরা খুব সহজে পা ফেলতে পারেনি।
Afghanistan crisis: গুরুদ্বারে গিয়ে শিখ ও হিন্দুদের নিরাপত্তার আশ্বাস তালিবানদের, দাবি অকালি নেতার
Post Poll Violence: 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যর্থ', কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলল বিজেপি
সালিমার পরিচিতরা মনে করেছে তালিবানদের আটকাতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন তিনি। তাই তালিবানরা তাঁকে মৃত্যুদণ্ডই দেবে। তালিবানি কায়দায় নৃশংসভাবে হত্যাও করতে পারে বলেও অনেকে মনে করছেন। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর মাত্র ১০০ দিনের মধ্যে তালিবানরা আফগানিস্তানের বড়বড় শহরগুলি দখল করে নিয়েছিল। সেই সময় প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির অনুগামী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে অনেক সরকারি অধিকার্তাও দেশছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু নিজের দায়িত্বে অবিল থেকে তালিবানদের প্রতিবাদ করে গিয়েছিলেন সালিমা।