আগুনে দগ্ধ হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে ৫২টা তরতাজা প্রাণের। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গের বাইরে স্বজন হারানোর আর্তনাদে চিরে যাচ্ছে আকাশ।
শোকে স্তব্ধ বাংলাদেশ। আগুনে দগ্ধ হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে ৫২টা তরতাজা প্রাণের। এই শোকের কোনও ভাষা নেই। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গের বাইরে স্বজন হারানোর আর্তনাদে চিরে যাচ্ছে আকাশ। বাতাসে ভাসছে লাশ পোড়া কটু গন্ধ। দেহগুলির এমন অবস্থা, চেনার উপায় নেই। মর্গের কর্মচারীরা জানাচ্ছেন ডিএনএ টেস্ট ছাড়া কোনও দেহ শনাক্তকরণ সম্ভব নয়।
ক্যামেরার সামনেই মহিলার শাড়ি টেনে খুলে ফেলার চেষ্টা, নির্বাচনের নামে ধুন্ধুমার যোগীরাজ্যে
গত বছরের তুলনায় ছয়গুণ বেড়েছে খাবারের অভাব, ২০২২ সালে আসতে পারে দুর্ভিক্ষ : রিপোর্ট
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম এন টিভি অনলাইন জানাচ্ছে মর্গের বাইরে দাঁড়ানো যাচ্ছে না তীব্র উগ্র গন্ধে। পাঁচটি গাড়িতে করে শুক্রবার বিকেলে ঢাকা মর্গে নিয়ে যাওয়া হয় দগ্ধ মৃতদেহগুলি। ইতিমধ্যেই সিআইডি মৃতদের পরিবারের ডিএনএ সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। এদিকে মর্গের বাইরে স্বজনের ছবি হাতে আকুল নয়নে দাঁড়িয়ে মানুষ।
বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার এক জুস কারখানায় আগুন লেগেছিল। গোটা রাত ধরে ঢাকা দমকল পরিষেবারকর্মীদের অক্লান্ত চেষ্টায় সেই আগুন শুক্রবার সকালে নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে, তারমধ্যে অর্ধশতাধিক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আরও অন্তত জনা ৩০-এক শ্রমিক গুরুতর জখম বলে জানা গিয়েছে। আরও মর্মান্তিক হল, এই শ্রমিকদের বেশিরভাগই শিশু।
বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানার ছয়তলা ভবনের একেবারে নিচের তলায় আগুন লেগেছিল। ধীরে ধীরে সেই আগুন উপরে উঠতে থাকে। এদিকে ভিতরে আটকা পড়েছিলেন বহু শ্রমিক। প্রাণভয়ে ৬ তলা ভবনটির ৫ তলা থেকে লাফ দিয়েছিলেন শ্রমিক স্বপ্না রানী (৪৪) ও মিনা আক্তার (৩৪)। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছিল।
সারা শরীর পাথর হয়ে যাচ্ছে, বিরল রোগে আক্রান্ত পাঁচ মাসের ছোট্ট মেয়ে
আরও কিছু পরে মোরসালিন নামে ২৮ বছরের আরেক শ্রমিকও কারখানা ভবনটির তৃতীয় তলা থেকে নিচে লাফিয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।