আফগানিস্তান থেকে সরছে মার্কিন সেনা। এরমধ্যেই শুক্রবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কো তালিবান নেতা শাহাবুদ্দিন দেলাওয়ার জানালেন আফগান ভূখণ্ডের ৮৫ শতাংশ তাদেরই নিয়ন্ত্রণে।
আফগানিস্তানের ৮৫ শতাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে তালিবানরাই। শুক্রবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে এমনটাই ঘোষণা করলেন তালিবান নেতা শাহাবুদ্দিন দেলাওয়ার। প্রায় দুই দশক ধরে লড়াই চলার পর, এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ বিদেশি সবকটি সেনাবাহিনী আফগানিস্তানের মাটি থেকে সরে যাচ্ছে। ফলে, আফগানিস্তানে আরও অনেক নতুন এলাকার নিয়ন্ত্রণ তালিবানদের হাতে চলে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তারমধ্যেই এল এই ঘোষণা।
এদিনই, আফগান রাজধানি কাবুল শহরের উত্তরে অবস্থিত বাগ্রাম বিমান ঘাঁটি আফগান সেনার হাতে তুলে দিয়েছে মার্কিন সেনা। বিগত দুই দশকের বেশি সময় ধরে তালিবান ও আলকায়দার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় এই ঘাঁটিই ছিল মার্কিন বাহিনীর মূল কেন্দ্র। বেশিরভাগ সামরিক অভিযান এই কেন্দ্র থেকেই পরিচালিত হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার, ৬ জুন তারিখেই পেন্টাগন থেকে মার্কিন বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছিল, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রায় ৯০ শতাংশেরও বেশি কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। সাতটি মার্কিন সেনাঘাঁটি আফগান সুরক্ষা বাহিনীকে হস্তান্তর করা হয়েছে। আফগানিস্তান থেকে প্রায় এক হাজার সি-১ যুদ্ধবিমান এবং আরও নানাবিধ সামরিক সরঞ্জাম দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন - বাংলাদেশেই তৈরি হবে চিনের টিকা - ভারতই দেখালো পথ, ঢাকাও কি হবে ইসলামাবাদ
আরও পড়ুন - 'ড্রাগন ম্যান' - বদলে দিল মানব বিবর্তনের ইতিহাস, খোঁজ মিলল সবচেয়ে কাছের পূর্বপুরুষের
আরও পড়ুন - একাধিক স্বামী রাখতে পারবেন মহিলারা - আইনি স্বীকৃতি দিচ্ছে সরকার, দেশ জুড়ে শোরগোল
গত এপ্রিলমাসেই মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন আফগানিস্তানথেকে সমস্ত মার্কিন সামরিক ও বেসামরিক কর্মীদের প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই সময় আফগানিস্তানে সরকারিভাবে ২,৫০০ মার্কিন সেনা এবং ১৬,০০০ বেসরকারী ঠিকাদার সেনা ছিল। তবে, আফগানিস্তানে এখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশাল ফোর্সের প্রায় ১,০০০ কর্মী থেকে গিয়েছেন বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। এরা সরকারি তালিকাভুক্ত নয়।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই সকল মার্কিন সেনার আফগান মাটি ছেড়ে যাওয়ার কথা। সেই সময় স্পেশাল ফোর্সের সদস্যরাও চলে যাবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, আফগানিস্তানে তালিবানদের উত্থান স্রেফ সময়ের অপেক্ষা, অনেক বৈদেশিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞই এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।