ফ্রান্সের এই কৃষি মেলা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অনুষ্ঠান। আর সেখানেই ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ নিয়ে মুখ খুলেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। এই যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘাড়েই সব দোষ চাপিয়েছেন তিনি।
ইউক্রেনের (Ukraine) বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান (Military Operation) ঘোষণা করেছে রাশিয়া (Russia)। আজ সেই আক্রমণ তৃতীয় দিনে পা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) সামরিক অভিযান ঘোষণা করার পর থেকেই একের পর এক হামলা চলছে ইউক্রেনে। ইউক্রেনের একের পর এক শহর দখল করছে রুশ সেনা (Russian Army)। চারিপাশে শুধুই ধ্বংসের ছবি। আতঙ্ক সবার চোখে মুখে। রাশিয়া যখন ইউক্রেন সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছিল, তখন আমেরিকা (America), ব্রিটেন (Britain), ফ্রান্সের (France) মতো বেশি কিছু প্রথম বিশ্বের দেশ ইউক্রেনের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল। তবে রাশিয়া হামলা করার পর এখনও পর্যন্ত সেভাবে কোনও দেশকেই পাশে থাকতে দেখা যায়নি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাই লড়াই করছে ইউক্রেন। আর এবার এই যুদ্ধ নিয়েই মুখ খুললেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ (Emmanuel Macron)। এই যুদ্ধ নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তিনি।
বিশ্বকে সতর্ক করে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট (French President) জানিয়েছেন, রাশিয়াও-ইউক্রেনের মধ্য যে যুদ্ধ চলছে তা দীর্ঘমেয়াদি হবে এবং তার জন্য গোটা বিশ্বকে প্রস্তুত থাকতে হবে। ফ্রান্সের বার্ষিক কৃষি মেলায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, "এই সকালে আমি আপনাদের একটা কথা বলতে পারি যে এই যুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদি হবে। আর এই যুদ্ধের ফলে যে সংকট তৈরি হবে তার প্রভাবও অনেকদিন ধরে থাকবে।" রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলা একটা দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য গোটা বিশ্বকে প্রস্তুত থাকতে হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে দেশের পথে, ২১৯ ভারতীয়কে নিয়ে উড়ল এয়ার ইন্ডিয়ার প্রথম বিমান
ফ্রান্সের এই কৃষি মেলা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অনুষ্ঠান। আর সেখানেই ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ নিয়ে মুখ খুলেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। এই যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘাড়েই সব দোষ চাপিয়েছেন তিনি। বলেন, "ইউরোপে আবার যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) এর জন্য এক তরফাভাবে দায়ী। এক ফলে মানবিক সংকটের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইউক্রনিয়রা এই যুদ্ধ প্রতিহত করার চেষ্টা করছে এবং এই প্রয়াসে গোটা বিশ্ব তাদের পাশে রয়েছে।"
আরও পড়ুন- রুশ সেনার দখলে ইউক্রেনের মেলিটোপোল শহর, দাবি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরির আগে থেকেই বারবার আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আবেদন করেছিলেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং এই নিয়ে তিনি একাধিকবার পুতিনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টাও করেন। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং পুতিনের মধ্যে এই বৈঠকে মধ্যস্থতা করারা চেষ্টাও করেন। কিন্তু, তাঁর কোনও চেষ্টাই ফলপ্রসূ হয়নি। বরং পশ্চিমী দেশগুলির সতর্কতাকে গুরুত্ব না দিয়েই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দেয় রাশিয়া। যদিও তারপর থেকে রাশিয়াকে চাপে রাখতে তৎপর আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো একাধিক দেশ। রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমনকী, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফ্রান্সের মনোভাব কোনও ভাবেই নরম হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ফ্রান্সের তরফেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- কেমন করে ইউক্রেন দখলের ছক কষছে রাশিয়া, জেনে নিন বিস্তারিত