মার্কিন হুশিয়ার উপেক্ষা করেই শনিবার রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যাপক মহড়া চালাল। যা নিয়ে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। Ignoring US warnings, Russia on Saturday launched a massive exercise in nuclear-capable missiles. With which the situation has become hot again.
গত কয়েক দিন ধরে ক্রমেই তিক্ত হচ্ছে সম্পর্ক। এমতাবস্থায় এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেল মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে। সম্প্রতি মিউনিখ কনফারেন্সে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস (U.S. Vice President Kamala Harris) সাফ বললেন, “একটা কথা পরিষ্কার জানাচ্ছি, রাশিয়া যদি ফের ইউক্রেনে হামলা চালায়, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তার সমস্ত সঙ্গীদের নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর এবং অভূতপূর্ব নিষেধাজ্ঞা জারি করবে।” তাঁর এই বক্তব্য নিয়েই বর্তমানে জোর চর্চা চলছে আন্তর্জাতিক মহলে।
এই মার্কিন হুশিয়ার উপেক্ষা করেই শনিবার রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যাপক মহড়া চালাল। যা নিয়ে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশেই স্ট্র্য়াটেজিক নিউক্লিয়ার ফোর্সের প্রয়োগ হয় এদিন। সহজ কথায় বর্তমানে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সংঘাত তুঙ্গে। পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা ইতিমধ্যেই পূর্ণ সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন।এর আগে শনিবার সকাল থেকেই ইউক্রেনের রুশ প্রভাবিত বিদ্রোহী ঘাঁটি ডোনেটস্ক শহর থেকে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘বিজেপিকে ভোট দিলেই হোলিতে বাড়ি বাড়ি ফ্রি গ্যাস’, উত্তরপ্রদেশের জনসভায় ‘শাহ অফার’ ঘিরে জোর চর্চা
আরও পড়ুন- জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনার বলি মহিলা সহ ৩ যাত্রী, গুরুতর জখম কমপক্ষে ১২
তবে এই ঘটনায় রাশিয়া দাবি করেছে, ওই শহরে ইউক্রেন হামলা চালিয়েছে।গত কয়েকদিন ধরেই ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের খবর শোনা যাচ্ছে। রাশিয়া তাদের সেনা প্রত্যাহারের দাবি করছে। একইসঙ্গে আমেরিকা এই ইস্যুতে রাশিয়ার উপর একেবারেই আস্থা না রাখার কথা বলছে।
আরও পড়ুন- প্রার্থীপদ প্রত্যাহার না করলে সমস্ত নির্দল প্রার্থীকেই করা হবে বহিষ্কার, উত্তর ২৪ পরগনায় হুঁশিয়ারি তৃণমূলের
আরও পড়ুন- ফের বড়সড় ব্যাঙ্ক জালিয়াতি, হোম লোন নিতে গিয়ে সর্বস্ব খোয়ালেন বেহালার যুবক
এর আগে শুক্রবার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছিলেন, “আমরা এটি বিশ্বাস করি এবং আগামী সপ্তাহে রাশিয়া কিয়েভ সহ ইউক্রেন আক্রমণ করবে বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।” সেইদিনও রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে বাইডেন বলেন, “রাশিয়া যদি এই পদক্ষেপ নেয় তাহলে তা ধ্বংসাত্মক ও অপ্রয়োজনীয় যুদ্ধের জন্য দায়ী হবে।” রাশিয়াও ন্যাটো দেশগুলোর ক্ষোভের মুখে পড়েছে। একইসঙ্গে ন্যাটোর জেনারেল সেক্রেটারি মস্কোকে জানিয়েছেন, যদি রাশিয়া আমাদের ভাগ করতে চায় তবে ঠিক বিপরীতটা পাবে। তারা আরও ঐক্যবদ্ধ ন্যাটো পাবে। এদিকে কিয়েভের অভিযোগ, মার্কিন এবং ন্যাটো জোটের কারণেই ইউক্রেনে হামলা চালাতে ব্যর্থ হয়ে বিদ্রোহীদের লেলিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। আর তাতেই আরও ঘোরালো হয়েছে সামগ্রিক পরিস্থিতি।