Donald Trump On H1B Visa: মার্কিন ভিসা নিয়ে কড়াকড়ির মাঝে এবার সুর নরম করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কী বললেন তিনি? বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…
চলতি মাসের ১ নভেম্বর থেকে মূলত ভারতীয়দের জন্য এইচ১বি ভিসায় আবেদনের ক্ষেত্রে নিয়মে কড়াকড়ি এনেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার সেই নির্দেশিকার ১১ দিনের মধ্যেই ভোলবদল। ভিসা নীতি নিয়ে এবার সুর বদলে ফেললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এইচ১বি ভিসা মূলত ভারতীয় নাগরিকরাই এই ভিসার প্রধান সুবিধাভোগী। ট্রাম্প বলেন, ‘’দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকলেও দক্ষ কর্মীর ঘাটতি মেটাতে বিদেশ থেকে প্রতিভাবান জনবল আনা প্রয়োজন।''
25
H1B ভিসা নিয়ে কী বললেন ট্রাম্প?
বুধবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্পকে যখন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন-, ‘আমেরিকায় অনেক দক্ষ কর্মী রয়েছে?' তখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তৎক্ষণাৎ জবাব দেন, “না, তা নেই।'' তিনি আরও বলেন, “কিছু বিশেষ দক্ষতা এখানে নেই। মানুষকে তা শিখতে হয়। বেকারদের সারি থেকে কাউকে তুলে এনে বলা যায় না—‘তোমাকে মিসাইল তৈরির কারখানায় কাজ দিতে যাচ্ছি।'' ফলে ট্রাম্প কার্যত শিকার করে নিলেন যে, ভিসায় কড়াকড়ি করলেও আমেরিকার প্রয়োজন মেটাতে সেই বাইরে থেকে লোক এনে ঘাটতি মেটাতে হয়।
35
ট্রাম্পের দাবি ঘিরে তরজা
এদিন এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন যে- ন, “তারা অভিযানে নেমেছিল কারণ তারা অবৈধ অভিবাসীদের দেশছাড়া করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেখানে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আসা কিছু মানুষ ছিলেন, যারা সারা জীবন ব্যাটারি তৈরি করেছেন। ব্যাটারি তৈরি করা খুব জটিল ও বিপজ্জনক কাজ—বিস্ফোরণের আশঙ্কা থাকে, নানা সমস্যাও থাকে। প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ জন কর্মী ছিলেন, যারা প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যাটারি তৈরি ও অন্যদের তা শেখানোর কাজ করছিলেন। অথচ তাদের দেশ ছাড়তে বলা হয়েছিল। অথচ এই দক্ষতাগুলোই ভবিষ্যতে দেশের প্রয়োজন হবে।''
দেশ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করতে বেশ কিছুদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে ৩০০-রও বেশি দক্ষিণ কোরিয়ান কর্মীকে আটক করা হয়। এদিকে এই ই ঘটনার পর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে সিউল সরকার একটি তদন্ত শুরু করেছে। জানা গিয়েছে যে, অভিযানের আগে তাদের কোনো ধরনের পূর্ব নোটিশ দেওয়া হয়নি। তবে গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়া সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তিনি এই অভিযানের “সম্পূর্ণ বিরোধী”।
55
ভিসায় কড়াকড়ি নিয়ে আগে কী বলেছিলেন ট্রাম্প?
এর আগে এইচ-১বি ভিসার অপব্যবহার নিয়ে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন যে, ভিসার অপব্যবহারে বহু মার্কিন তরুণ তাঁদের স্বপ্ন হারিয়েছেন। বিদেশিদের জন্য তাঁদের চাকরি চলে গিয়েছে। একই সঙ্গে আরও দাবি করা হয় যে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও শ্রমমন্ত্রী লরি চাভেজ-ডি রেমারের নেতৃত্বে এখন এই অপব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং আমেরিকার তরুণদের স্বপ্ন সত্যি করার প্রয়াস করা হচ্ছে। যদিও ট্রাম্পের এই বক্তব্যের কিছুদিনের মধ্যে ভিসা নিয়ে ফের ঢোক গিললেন ট্রাম্প।