US President on India Tariff: শুল্ক সঙ্ঘাতের আবহে ভারতের বিরুদ্ধে আরও সুর চড়ালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাণিজ্য নীতিতে ভারতের মনোভাব একতরফা। আর কী বললেন ট্রাম্প। বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…
শুল্ক সঙ্ঘাতের আবহে ফের ভারতের বাণিজ্য নিতি নিয়ে একতরফা মনোভাবের অভিযোগ তুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার এই বিষয়ে মার্কিন এক সংবাদ মাধ্যমের কাছে সাক্ষাতকার দেওয়ার সময় তিনি জানান, আমেরিকা ভারত থেকে প্রচুর জিনিস আমদানি করে তা সত্ত্বেও বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক আদায় করে ভারত।
25
ভারতের বিরুদ্ধে একতরফা সম্পর্কের অভিযোগ
এখানেই শেষ নয়। ভারতের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক সম্পর্ক 'একতরফা' হওয়া নিয়েও সরব হয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘’ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক খুবই ভালো। কিন্তু ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সেই সম্পর্ক একতরফা হয়ে যাচ্ছিল। কারণ, ভারতীয় পণ্য আমেরিকায় আমদানির ক্ষেত্রে ভারত অতিরিক্ত শুল্ক চাপায়। বদলে আমেরিকা থেকে কোনও জিনিসই ভারত আমদানি করে না।
35
ভারতের বাজারে মার্কিন বাণিজ্যের লোকসান!
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘’আমেরিকার সব থেকে নামী বাইক কোম্পানি হল ‘হার্লে ডেভিডসন’। ভারতের অতিরিক্ত শুল্কের কারণে তারা সেখানে ব্যবসা করতে পারছিল না। কারণ, এই কোম্পানির ব্যবসার ক্ষেত্রে ভারতের তরফ থেকে দুশো শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। ফলে এরপর ওই কোম্পানি ভারতে গিয়েই নিজেদের কারখানা তৈরি করে। যারফলে তখন ওই কোম্পানিকে অতিরিক্ত শুল্ক দিতে হত না।'' মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি যে, ঠিক এইভাবে আমেরিকার কোম্পানিকে ব্যবসা করতে হলে ওই কোম্পানি শুল্কের ভয়ে ভারতে কারখানা তৈরি করতে বাধ্য হত। ফলে আখেরে আমেরিকার লাভ কিছুই হচ্ছে না।
জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চিনের তিয়ানজিনে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) শীর্ষ সম্মেলনে শি জিনপিং এবং রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের মাঝেই প্রকাশ্যে আসে ট্রাম্পের এহেন মন্তব্য। যদিও শুল্ক সঙ্ঘাতের ওয়াশিংটনের চাপের জবাবে প্রধানমন্ত্রী মোদী আগেই বলেছেন যে, ভারত তার অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেবে। তিনি বলেন, ‘’তিনি কৃষক, ক্ষুদ্র শিল্প এবং পশুপালকদের স্বার্থে কোনো আপস করতে পারেন না।''
55
ট্রাম্পের শুল্কনীতি নিয়ে ভারতের অবস্থান
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর বেজিং সফরের আগেই গত অগাস্ট মাসে একটি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মোদি বলেন, “আমাদের কাছে আমাদের কৃষকদের স্বার্থই প্রধান অগ্রাধিকার। ভারত কখনই কৃষক, জেলে এবং দুগ্ধ উৎপাদনকারীদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না। আমি জানি এর জন্য আমাদের চড়া মূল্য দিতে হবে এবং আমি তার জন্য প্রস্তুত। ভারত এর জন্য প্রস্তুত।” ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যেই ভারতের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে। গত ২৭ অগাস্ট বুধবার থেকে আমেরিকার বাজারে ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক কর চাপানো হয়েছে।