একেবারেই অচেনা পুরুষ ও মহিলাদের সাথে বস্ত্রহীন অবস্থায় আয়োজিত হচ্ছে এই নৈশভোজের উদযাপন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এর আকর্ষণের পরিধিও বাড়ছে দুরন্ত গতিতে।
আত্মা, পুষ্টিকর খাদ্য, শিল্প, নগ্নতা এবং আত্মপ্রেম — এইই হল ফ্যুড (Füde)-এর মূল মন্ত্র। অর্থাৎ উদযাপনের জন্য যেমন প্রয়োজন আত্মার বিশুদ্ধিকরণ করা, তেমনই সেই বিশুদ্ধিকরণে প্রধান উপযোগী হবে নগ্নতা। বিশ্বে সর্বোতভাবে এগিয়ে থাকা শহর নিউ ইয়র্কে এমনই এক উদযাপনে মেতে উঠছেন সমস্ত নারী পুরুষরা। যে উদযাপনের মূল উদ্দেশ্য হল ‘ডিনার পার্টি’, অর্থাৎ, নৈশভোজ। তবে, যেমন-তেমন চেনা নৈশভোজ নয়। এই ভোজে অংশগ্রহণকারীদের আসতে হবে জামাকাপড় খুলে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র অবস্থায়।
বিগত প্রায় কয়েক দশক ধরেই খাবারের রেস্তরাঁ নিয়ে বিবিধ পরীক্ষানিরীক্ষা করে চলেছেন আমেরিকার ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন আজব থিমে সেজে উঠছে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর হোটেল এবং রেস্তরাঁগুলি। সেই থিমের খোঁজ করতে করতেই ২০২০ সালে এই দেহ উন্মুক্ততার থিম আবিষ্কার করে ফেলেছেন ফ্যুড (Füde)-এর উদ্যোক্তা মিসেস ম্যাক্স। নিউ ইয়র্ক শহরের লোয়ার ইস্ট সাইডে অবস্থিত এই রেস্তরাঁয় জামাকাপড় পরা একেবারেই বারণ। তবে, অভ্যাসের কারণে পায়ে মোজা পরে থাকতে দেখা যায় কিছু কিছু অতিথিকে। ৩ বছর ধরে এই রেস্তরাঁয় আগত অতিথিদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে হু হু করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পার্টির ছবি দেখে সেখানে অংশ নেওয়ার জন্য আকুল হয়ে থাকেন নারী, পুরুষ, সকলেই। ২০ থেকে ৫০ অথবা ৬০, এখানে যোগদানকারীদের বয়সে কোনও বাধা নেই।
উল্লেখ্য, এই রেস্তরাঁয় মহিলা বা পুরুষদের নগ্ন হয়ে পার্টি উদযাপন করার জন্য পৃথক পৃথক জায়গা নেই। প্রত্যেকে একই জায়গায় উপস্থিত হয়ে খাবার খাওয়া থেকে শুরু করে নাচ গানে মুখর হয়ে ওঠেন অতিথিরা। হোটেলের দরজা দিয়ে ঢোকার আগে জামাকাপড় খুলে রাখার ব্যবস্থা আছে, সেখানে রাখা রয়েছে একটি কাপড়ের আলনা এবং কতগুলি হ্যাঙ্গার। এই ‘মুক্তির স্থান’-এ খাবারদাবার সবই ভেগান, অর্থাৎ, উদ্ভিদ-ভিত্তিক রান্নাবান্না। মানুষজন যাতে খোলা মনে নিজেকে ভালোবাসতে পারেন, তার জন্যই এই নগ্ন হওয়ার ধারণা, যাকে ‘শিল্প’ বলেই উল্লেখ করছেন অতিথি ও উদ্যোক্তারা। চলতি এপ্রিল মাসেও উদযাপিত হয়েছিল এমনই এক পার্টি। উষ্ণভাবে আলোকিত এই ডাইনিং হলে শ্যাম্পেনের গ্লাস হাতে নিয়ে সম্পূর্ণ অজানা অচেনা মানুষজনের সাথে বস্ত্রহীন অবস্থায় নৈশভোজের আনন্দে মেতে উঠতে পারেন আপনিও। শরীরকে খোলা মনে অন্যান্য মানুষের সামনে প্রকাশ করার ও অন্যান্য মানুষদের সাথে উন্মুক্ত মনে সংযুক্ত হওয়ার এর চেয়ে নিরাপদ ও সুবিধাজনক ক্ষেত্র আর কোথায়? তবে, যোগ দেওয়ার আগে ফিল আপ করতে হবে একটি বিশেষ ফর্ম। সম্ভাব্য অতিথিরা কেন এই নৈশভোজে যোগদান করতে আগ্রহী, ওই ফর্মে তা ব্যাখ্যা করতে হবে। যোগদানকারীর কোনও খাদ্যতালিকাগত বিধিনিষেধ আছে কিনা, বা আবেদনকারী তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে নগ্ন বা অর্ধ-নগ্ন ইভেন্টের সময় অনুপযুক্ত বা অসম্মানজনক বলে বিবেচিত কোনও ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন কিনা, সে সম্পর্কেও জিজ্ঞাসা করে মিসেস ম্যাক্স এই ফর্মটি তৈরি করেছেন।
আরও পড়ুন-
ত্রিপুরায় বিজেপি নেত্রীর এ কি আচরণ! হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতির গান গেয়েছিলেন বলে যুবকের জামা খুলিয়ে বেধড়ক মার
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে এবার বাংলার প্রত্যেক জেলায় বিশেষ নোটিস পাঠাল স্কুলশিক্ষা দফতর