সংক্ষিপ্ত
বিপদগ্রস্ত মানুষজনদের রক্ষা করতে এবার বাংলার স্কুলগুলিতে যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য জেলাশাসকদের কাছে পাঠানো হল জরুরি নির্দেশ।
গ্রীষ্মের পরেই আসছে বর্ষার ঘনঘটা, পশ্চিমবঙ্গে উপকূলীয় জেলাগুলিতে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও রয়েছে ব্যাপক বন্যার আশঙ্কা। সেই দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে কবলিত মানুষজনদের রক্ষা করতে এবার বাংলার স্কুলগুলিতে যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য জেলাশাসকদের কাছে পাঠানো হল জরুরি নির্দেশ। মূলত আশ্রয় শিবির হিসাবে যাতে স্কুলগুলিকে প্রস্তুত করে রাখা হয়, তার জন্য প্রত্যেকটি জেলার জেলাশাসকদের কাছে এই নির্দেশ পাঠিয়েছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। শনিবারই এই নির্দেশ জেলাশাসকদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গেছে। স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনার তাঁর পাঠানো নির্দেশিকায় উল্লেখ করেছেন যে, দুর্যোগ বা বন্যার কথা মাথায় রেখে যাতে আশ্রয় শিবির হিসাবে স্কুলগুলি প্রস্তুত করে রাখা হয়, সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
সম্প্রতি, পশ্চিমবঙ্গের সেচ দফতরকে উদ্দেশ করে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে রাজ্যরে বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য বাঁধ ও খাল সংস্কারের কাজে এখন থেকে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী দিনের সাইক্লোন, বন্যা ও ধসের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুতি বৈঠক ডেকেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। মঙ্গলবার নবান্ন সভাঘরে এই বৈঠকে ডিভিসি, আলিপুর আবহাওয়া অফিস, কলকাতা বন্দর, কেন্দ্রীয় জল কমিশন,সেনা-সহ সংশিষ্ট কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান ও রাজ্য সরকারের দফতরগুলিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
উক্ত বৈঠকে বন্যা ও সাইক্লোন পরিস্থিতির পূর্বাভাস, ত্রাণ ও পুনর্গঠনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই সেচ দফতরকে প্রতিবেশী রাজ্যগুলির বন্য পরিস্থিতি ও জলধারগুলির জলের পরিমাণ নিয়ে ডিভিসির সঙ্গে নিয়মিত নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে ডিভিসি ও কেন্দ্রীয় জল কমিশনের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করতে চান মুখ্যসচিব। যাতে জল ছাড়ার বিষয়টিতে রাজ্যের নজর অনেক আগে থেকেই থাকে। সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের সঙ্গে সঙ্গে জানাতে হবে।
ডিভিসি-র জল ছাড়া নিয়ে প্রত্যেক বছরই অভিযোগ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। জল ছাড়ার কথা সময়মতো না জানানোর জন্যই এই সমস্যা হয় বলে তাঁর অভিযোগ। জলধার বা বাঁধ থেকে জল ছাড়ার কথা আগে থেকে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের জানাতে হবে বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও এই বিষয়ে চিঠি লিখেছেন তিনি। ফলে, আসন্ন বৈঠকে আগেভাগেই ডিভিসিকে সতর্ক করে দিতে পারে রাজ্য সরকার। তারই সঙ্গে রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি হলে কীভাবে যথাসময়ে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে তারও আগাম নির্দেশ ওই দিনের বৈঠকে দেওয়া হতে পারে। জলধার গুলি যাতে সংস্কার হয় সেই বিষয় নিয়েও আগামী মঙ্গলবার এর বৈঠকে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন-
অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন ফিরহাদ হাকিম, সংবাদমাধ্যমের সামনে কী বললেন তিনি?
Ukraine Kali: যুদ্ধের আকাশে উড়ছে মা কালীর স্কার্ট? ইউক্রেন প্রতিরক্ষা দফতরের ছবি দেখে ‘রণচণ্ডী’ হিন্দু ধর্মীয়রা
তালিবানের গলা জড়িয়ে সেলফি তুলেছিলেন ইউটিউবার, তারপর যা ঘটল, শুনে হাড় হিম হয়ে যাচ্ছে নেটিজেনদের