Nobel For Economics 2025: মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে ফের নোবেল জয়। বিশ্ব শান্তির পর এবার অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন তিন গবেষক। কারা তাঁরা? বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…
আগে শান্তি তারপরে অর্থনীতি। হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন। বিশ্ব শান্তির পর এবার অর্থনীতিতে নোবেল জয় করলেন তিন অর্থনৈতিক গবেষক। সোমবার সুইডিশ নোবেল কমিটির তরফে ২০২৫ সালের অর্থনীতিতে নোবেলজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। সেখানেই উঠে আসে তিন গবেষকের নাম। তাঁরা হলেন জোয়েল মোকর। জানা গিয়েছে প্রযুক্তির নতুন উদ্ভাবন কীভাবে অর্থনীতির বিকাশে সহায়ক হতে পারে সেই পথের সন্ধান দিয়েই অর্থনীতিতে নোবেল জেতেন এই তিনজন গবেষক।
25
Philippe Aghion (অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী)
জানা গিয়েছে, রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমির তরফে এই বছর উদ্ভাবন-চালিত আর্থিক বৃদ্ধি ব্যাখ্যা করার জন্য জোয়েল মোকর, ফিলিপ অ্যাঘিয়ন এবং পিটার হাউইটকে যৌথ ভাবে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, ১৯৯২ সালে অ্যাঘিয়ন এবং হাউইট তাদের একটি গবেষণা পত্রে ‘সৃজনশীল ধ্বংস’ নিয়ে একটি গাণিতিক মডেল প্রকাশ করেছিল। সেখানে তারা জানিয়েছিল যে, নতুন কোনও পণ্য বাজারে এলে পুরনো পণ্যের বিক্রি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
35
Peter Howitt (অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী)
সৃজনশীল ধ্বংসের মাধ্যমে টেকসই বৃদ্ধির তত্ত্বের জন্য নোবেল পেলেন আঘিওঁ ও হাওয়িট। সুইডিশ একাডেমি ঘোষণা করেছে যে, এই বছরের অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কারের অর্ধেকটা ভাগ করে নিলেন দুই অর্থনীতিবিদ মিঃ আঘিওঁ (Mr. Aghion) এবং মিঃ হাওয়িট (Mr. Howitt)। কমিটির বর্ণনা অনুযায়ী, "সৃজনশীল ধ্বংসের (creative destruction) মাধ্যমে টেকসই বৃদ্ধির তত্ত্বের" জন্য তাঁদের এই সম্মান দেওয়া হয়েছে। তাঁদের এই মডেল দেখায় যে, কীভাবে নতুন উদ্ভাবনগুলি পুরনো প্রযুক্তিকে প্রতিস্থাপন করে অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে চালিত করে।
অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে পুরস্কার ঘোষণার সময় নোবেল কমিটির সদস্য কার্স্টিন এনফ্লো (Kerstin Enflo) এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, পুরস্কার প্রাপক অর্থনীতিবিদদের গবেষণা দেখায় যে, “অগ্রগতিকে আমাদের নিশ্চিত বলে ধরে নেওয়া উচিত নয়।”
55
নোবেলজয়ী তিন অর্থশাস্ত্রী
এনফ্লো আরও বলেন, "পুরস্কারপ্রাপ্তদের কাজ আমাদের শেখায় যে টেকসই বৃদ্ধিকে নিশ্চিত বলে ধরে নেওয়া যায় না।" এর মাধ্যমে তিনি মানব ইতিহাসে অর্থনৈতিক স্থবিরতার দীর্ঘ সময়কাল এবং নিরন্তর বৃদ্ধির জন্য সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। যা নীতি নির্ধারকদের জন্য অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার গুরুত্বকে চিহ্নিত করে।