World Environment Day 2025: সবুজ বাঁচিয়েই তারপর সবকিছু, বিশ্ব পরিবেশ দিবসে জানুন সবুজে ঘেরা দেশগুলির নাম, দেখুন ছবিতে

World Environment Day 2025: বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে জেনে নিন বিশ্বের ১০ টি সবুজতম দেশ সম্পর্কে। কোন দেশ সবচেয়ে এগিয়ে এবং কীভাবে তারা পরিবেশ সংরক্ষণে অবদান রাখছে? দেখুন ফটো গ্যালারিতে… 

বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫

৫ জুন দিনটি পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনটি বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিসেবে পালিত হয়। এই উপলক্ষে আমরা সবাই পৃথিবীকে সবুজ রাখার প্রতিজ্ঞা করি। তাহলে আসুন এবার জেনে নেই পৃথিবীর কোন দেশগুলি সবথেকে বেশি সবুজে পরিপূর্ণ। রইল তালিকা। 

বিশ্বের ১০ টি সবুজতম দেশ

আধুনিক সমাজ ব্যবস্থা আর নগর উন্নয়নের জেরে বর্তমানে দূষণ অনেক বেড়েছে। বৈশ্বিক পরিবর্তন হল তার একটি বড় সমস্যা। অনেক দেশে খোলা বাতাসে শ্বাস নেওয়া কষ্টকর। তবুও,  পৃথিবীর বুকে এই ১০টি দেশ রয়েছে যারা সবুজ ও সতেজ প্রাণবায়ু নিতে পারে।

এস্তোনিয়া

এস্তোনিয়াকে প্রায়ই সবুজ দেশ বলা হয়। এর প্রধান কারণ দেশটি পরিবেশ-সচেতন নীতি গ্রহণ করেছে। গ্রিনটেক এবং ক্লিনটেকে অগ্রণী হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। এই দেশটি বিশুদ্ধ বাতাস এবং বিশাল বনের জন্য পরিচিত। ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৭৫.৭ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে এই দেশ। 

ডেনমার্ক

দ্বিতীয় স্থানে ডেনমার্ক। কিছু সূত্র মতে এটি সবচেয়ে সবুজ দেশ। বায়ু শক্তিতে এটি অগ্রগামী। এর লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন ৭০ শতাংশ কমানো।

লুক্সেমবার্গ

তৃতীয় স্থানে লুক্সেমবার্গ। দেশটি শক্তিশালী পরিবেশ নীতির জন্য পরিচিত। সবুজায়নের ক্ষেত্রে এই দেশ বর্তমানে অনেক এগিয়ে।

জার্মানি

সবুজ দেশের ক্ষেত্রে জার্মানি চতুর্থ স্থানে। এই দেশের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন ৫৫ শতাংশ কমানো এবং স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করা।

ফিনল্যান্ড

পঞ্চম স্থানে ফিনল্যান্ড। বন ও জলাশয়ের সুরক্ষা, বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লা নিষিদ্ধ করা এবং বায়ু  উন্নত করার কাজ চলছে এই দেশে। 

সুইডেন

নবায়নযোগ্য শক্তি নবরূপায়ণের জন্য সুইডেন পরিচিত। এর লক্ষ্য ২০৪৫ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানি মুক্ত শক্তি স্থাপিত করা।

সুইজারল্যান্ড

সপ্তম স্থানে সুইজারল্যান্ড। ইউরোপ মহাদেশের এই দেশ সবুজায়নের ক্ষেত্রে অনেক কাজ করেছে। এখানে শক্তিশালী পরিবেশ নীতি রয়েছে। এটি একটি সবুজ দেশ বলা চলে। এর অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেশ বিদেশের পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। 

নরওয়ে

অষ্টম স্থানে নরওয়ে। এই দেশ জলবিদ্যুৎ থেকে ৯৮ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করে এবং কার্বন প্রযুক্তিতে অগ্রগামী।

আইসল্যান্ড

এই দেশটি ভূ-তাপীয় ও জল শক্তি ব্যবহার করে। পরিবেশবান্ধব জীবনযাত্রাকে উৎসাহিত করে। ২০৪০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষতার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে এই দেশ। 

নিউজিল্যান্ড

নিউজিল্যান্ড একটি ছোট দ্বীপ রাষ্ট্র। এটি টেকসই কৃষি ও পরিবহন নবরূপায়ণের মাধ্যমে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এখানে গেলেও মেলে খোলামেলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর সবুজের  ছোঁয়া। যেন  কেউ সবুজ গালিচা পেতে রেখে গিয়েছে।