যদুবাবুর বাজারে প্রচারে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেন তিনি। বিলি করেন লিফলেট। কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও। এই পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। এরপর সেখানে টিকাকরণ পদ্ধতি খতিয়ে দেখতে একটি পুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ঢুকেছিলেন তিনি।
৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন (Bhabanipur By Election)। আজই ছিল শেষ প্রচার (Last Campaign)। শেষ মুহূর্তের প্রচারে ঝড় তুলতে আজ ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের (Priyanka Tibrewal) হয়ে মাঠে নেমেছিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। প্রথমদিকে প্রচার ঠিকই চলছিল। কিন্তু, যদুবাবুর বাজারে প্রচার করার সময় তাঁকে বাধা দেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা (TMC Supporter)। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এই হামলায় এক বিজেপি কর্মীর (BJP Worker) মাথা ফেটে (Injured) গিয়েছে। এমনকী, দিলীপ ঘোষকে লক্ষ্য় করে গো ব্যাক স্লোগানও (Go Back Slogan) দেন তৃণমূল কর্মীরা। এভাবে ভবানীপুর আসনের উপনির্বাচনের প্রচারের শেষদিনে দেখা দিল তুমুল উত্তেজনা।
এদিন যদুবাবুর বাজারে প্রচারে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেন তিনি। বিলি করেন লিফলেট। কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও। এই পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। এরপর সেখানে টিকাকরণ (Vaccination) পদ্ধতি খতিয়ে দেখতে একটি পুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ঢুকেছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় বিজেপি সাংসদকে নিগ্রহ করা হয়। দেওয়া হয় জয় বাংলা স্লোগান। পাল্টা জয় শ্রীরাম স্লোগান দেন বিজেপি কর্মীরা। এরপরই ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। ভাবনারায়ণ সিং নামে এক বিজেপি কর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তা রক্ষীরা বন্দুক উঁচিয়ে ভিড় হঠানোর চেষ্টা করেন। গোটা ঘটনায় অভিযোগ তোলা হয় তৃণমূলের (TMC) দিকে।
এরপর কোনওরকমে সেখান থেকে বেরিয়ে যান দিলীপ ঘোষ। জখম কর্মীকে নিয়ে গাড়িতে করে চিকিৎসার (Treatment) জন্য নিয়ে যান। নির্বাচন কমিশনের কাছে এই ঘটনার অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বলেন, "বাড়ি বাড়ি প্রচারে বেরিয়েছিলাম। কিন্তু প্রচারেও সুরক্ষা নেই। লাথি-গুঁতো মারা হয়েছে।"
আরও পড়ুন- মেছেদার পাইকারি মাছ বাজারে পৌঁছাল পদ্মার ইলিশ, খুশি ব্যবসায়ীরা
তবে শুধুমাত্র দিলীপ ঘোষকেই নয় এর আগে শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটে প্রচারে গেলে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান দেন তৃণমূল কর্মীরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা কোনওরকমে তাঁকে ওই এলাকা থেকে বের করে নিয়ে যান। এই ঘটনা প্রসঙ্গে অর্জুন সিং বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছেন, সেখানেই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে আর কী বলা যাবে। রাজ্যে কোনও গণতন্ত্র নেই।"
আরও পড়ুন- বনধের প্রভাব পড়ল না কলকাতায়, সকাল থেকেই সচল জনজীবন
আরও পড়ুন- পুলিশের পরীক্ষা দিতে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অধ্যাপকের গাড়ির ধাক্কায় পা ভাঙল পরীক্ষার্থীর
এই ঘটনার নিন্দা করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, "এই ঘটনাই প্রমাণ করে দিল যে রাজ্যে গণতন্ত্র নেই।" আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ ভোটের দিন এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটলে তা কেন্দ্রীয় বাহিনী বুঝে নেবে বলে জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল।