কলকাতা পুলিশে ইতিমধ্য়েই করোনা আক্রান্ত ১০০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে আগেই সুস্থ হয়েছেন ৪০ জন করোনা আক্রান্ত পুলিশকর্মী। সোমবার আরও ১৬ জন পুলিশকর্মী সুস্থ হয়ে ফিরলেন বাড়িতে। প্রত্য়েকেই যাতে সুস্থ থাকেন, করোনা রুখতে তাই নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন, নির্দিষ্ট সময়ে না পৌঁছনোয় বিমান ছাড়তে দেরি, মঙ্গলবার থেকে বাড়তে পারে উড়ানের সংখ্য়া
লালবাজার সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের ১০৬ জন পুলিশকর্মী ও অফিসার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্য়ে আগেই সুস্থ হয়েছেন ৪০ জন করোনা আক্রান্ত পুলিশকর্মী। সোমবার আরও ১৬ জন সুস্থ হয়ে ফিরলেন বাড়িতে। এরই মধ্য়েই একজন পুলিশকর্মী করোনা মুক্ত হয়ে সুস্থ হবার জানিয়েছেন, করোনাকে নিয়ে কোনও ভয়ের কারণ নেই। তবে হ্য়াঁ সতর্ক থাকা উচিত। ফুসফুসের রোগ, সুগার বা অন্য় কোনও বড় রোগের ক্ষেত্রে করোনা একটু ঝুঁকিপূর্ণ। তবে একজন সুস্থ মানুষ সে তাঁর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিয়ে অবশ্য় করোনা যুদ্ধে জয়ী হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, চিকিৎসাধীন থাকাকালীন তাঁকে ওষুধ বলতে হাইড্রোক্লোরোকুইন, কাফ সিরাফ এবং যাতে রাতে চিন্তা ছাড়াই ঘুম আসে সে জন্য় ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। তাই কোনও দিক থেকেই কোনও ভয়ের কারণ নেই।
আরও পড়ুন, মাঝেরহাট সেতুর 'সুপারস্ট্রাকচার' তৈরির কাজ শুরু মঙ্গলবার, নিয়ন্ত্রণ হবে ট্রেন চলাচল
উল্লেখ্য়,ইতিমধ্য়েই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বিধান নগর পুলিশের এক মহিলা কনস্টেবল। ওই কনস্টেবল বিধান নগর উত্তর থানায় কর্মরত ছিলেন। অপরদিকে কলকাতা পুলিশের কর্মীরাও একের পর এক করোনায় আক্রান্ত হয়ে চলেছেন। মানিকতলা থানার সাব ইন্সপেক্টর, পার্ক স্ট্রিট থানার স্পেশাল ব্রাঞ্চের পুলিশ কর্মী, জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট, বউবাজার থানার এক শীর্ষ আধিকারিক, প্রগতি ময়দান থানার ওসি এর প্রত্য়েকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে সব চেয়ে বেশি করোনা থাবা বসিয়েছে গড়ফা থানায়। অপরদিকে, লালবাজারে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা যাতে সুস্থ থাকেন, তার জন্য গেটের কাছে স্যানিটাইজিং টানেল তৈরি করা হয়েছে। সেখানে পুরোপুরি জীবাণু মুক্তের পরই পরিশুদ্ধ হয়ে ভিতরে ঢুকতে পারছেন পুলিশকর্মী ও আধিকারিকরা।