'কোভিড উপসর্গে কেউ করেনি সাহায্য', ভগবানের সাক্ষাত পেল জ্বরে আক্রান্ত পর্ণশ্রীর পরিবার

  • ভগবানের দেখা পেল জ্বরে আক্রান্ত পর্ণশ্রীর পরিবার
  •  এদিকে চার পাঁচ দিন ধরে পরিবারের সবাই জ্বরে আক্রান্ত 
  •  শারীরিক অবস্থা অতিসঙ্কটজনক হলেও কেউ সাহায্য় করেনি
  • ভগবান রূপে আবির্ভাব হল স্থানীয় এক যুবক নাম রনি দাস 
     

Ritam Talukder | Published : Apr 28, 2021 11:00 AM IST / Updated: Jun 01 2021, 01:16 PM IST

ভগবানের দেখা পেল জ্বরে আক্রান্ত পর্ণশ্রীর পরিবার।ভগবানকে কেউ চোখে দেখেনি কিন্তু তাও অনেক সংখ্যক মানুষেরই ভগবানের উপর আস্থা রয়েছে। এই কোভিড পরিস্থিতিতে দিনরাত মানুষ ভগবানকে ডাকছে যাতে গভীর সংকট কেটে যায়। এমনই পরিস্থিতিতে  পর্ণশ্রী অরবিন্দ পল্লীর রতীন আচার্যের কাছে ভগবান রূপে আবির্ভাব হল স্থানীয় এক যুবক নাম রনি দাস।

আরও পড়ুন, ফের অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু, ৮ ঘন্টা ধরে কোভিড আক্রান্তের দেহ বাড়িতে, ভয়ে কাঁপছে লেকটাউনবাসী 

 

 


পর্ণশ্রী অরবিন্দ পল্লীতে মা ও বোন নিয়ে রতীন আচার্যের সংসার। এদিকে চার পাঁচ দিন ধরে পরিবারের সবাই জ্বরে আক্রান্ত। গত পরশু কোভিড টেস্ট করেছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত রিপোর্ট আসেনি। কালকের থেকেই তিনজনের শারীরিক পরিস্থিতি অনেকটাই খারাপ হয়ে যায়। বিশেষ করে রতিন আচার্যের মা শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক হয়ে যায়। এমত অবস্থায় কী করবে ভেবে পাচ্ছিল না রতীন। এমন সময় ফোন করেন তিনি পাড়ার এক যুবক রনি দাসকে। পুরো বিষয়টা খুলে বলেন যে,  'কোনও রকম ভাবে কারও কাছ থেকে সাহায্য পাচ্ছেন না তাঁরা। চূড়ান্ত অসহায়তার মধ্যে দিন কাটছে তাঁদের।  হেল্পলাইনে ফোন করলে  বলা হচ্ছে করোনা টেস্ট রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তাঁরা কোন রকম সাহায্য করতে পারবে না। এখন তারা তিনজনই মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছে। যদি পারো একটু হাসপাতালে নিয়ে যাও আমাদেরকে।'

 

আরও পড়ুন, 'করোনায় ভয় কীসের, অক্সিজেন নিয়ে তৈরি নেতারা', BJP-TMC-র শীর্ষ নের্তৃত্বের ফোন নম্বর ভাইরাল 


রতীন আচার্যের মুখে এমন কথা শুনে আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারেনি রনি দাস। কোনও একটা জায়গা থেকে পিপিই কিট জোগাড় করে ফেলে সে।  বহুকষ্টে জোগাড় করে একটি এম্বুলেন্সও ।  বাইকেই পিপিই কিট পরে রওনা দেয়। প্রথম অবস্থায়  অ্যাম্বুলেন্সে করে সোজা নিয়ে যায় এমআর বাঙুরে। তবে বাঙুরে  গিয়ে দেখল সিট নেই  এবং  কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট না এলে   ভর্তি করা যাবে না আচার্য পরিবারকে। ততক্ষণে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই রতিন আচার্যের মায়ের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে গেছে। কী করবে ভেবে পাচ্ছিল না রনি দাস। কোনওরকমে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে চেনাজানা থাকায় অনেক কষ্টে দুটি বেড জোগাড় করে সে। শেষমেষ দু'ঘণ্টা পরে গিয়ে অতিকষ্টে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে রতীন আচার্যের পরিবারকে ভর্তি করাতে সক্ষম হয় রনি দাস।  চরম কঠিন পরিস্থিতিতেও আরও একবার মানবিক মুখ দেখা গেল কলকাতায়।

Share this article
click me!