নিজেকে লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখার কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন পার্থ। অভিযোগ, একাধিক ব্যক্তিকে পুলিশের বিভিন্ন পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। তার জন্য তাঁদের থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়েও নেন।
কলকাতা পুলিশের কর্মী পরিচয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে করে প্রতারণার অভিযোগ উঠল পর্ণশ্রীর এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে। ধৃতের নাম পার্থ দত্ত। গতকাল রাতে পাঠকপাড়ার একটি বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করে পর্ণশ্রী থানার পুলিশ। চাকরি দেওয়ার নামে একাধিক ব্যক্তির থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
নিজেকে লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখার কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন পার্থ। অভিযোগ, একাধিক ব্যক্তিকে পুলিশের বিভিন্ন পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। তার জন্য তাঁদের থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়েও নেন। কিন্তু, দীর্ঘদিন ধরে চাকরির কোনও খবর না পেয়ে চিন্তায় পড়ে যান সবাই। এরপর পার্থর থেকে সেই টাকা ফেরত চান তাঁরা। কিন্তু, কোনও টাকা ফেরত না দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন পার্থ। বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর বেহালার বাড়িতে যান প্রতারিতরা। সেখান থেকে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতারিতদের চাপে নিজের বেহালার বাড়ি ছেড়ে পাঠকপাড়ার একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন পার্থ। সাত-আটদিন ধরে সেখানেই ছিলেন তিনি। এরপর কোনওভাবে সেখানে পার্থর খোঁজ পান প্রতারিতরা। তারপরই গতকাল রাতে সেই বাড়িতে চড়াও হন তাঁরা। তাঁকে আটক করে রেখে খবর দেওয়া হয় পর্ণশ্রী থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছে গোটা ঘটনা শোনার পর পার্থকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসে বড় ধস, অধীরের দিল্লি থাকার সুযোগে হাত বাড়ত তৃণমূল
এরপর পর্ণশ্রী থানায় গিয়ে পার্থর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারিতরা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পার্থ সত্যিই পুলিশ কিনা তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। এছাড়া এর সঙ্গে আর কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- 'আরও বড় খেলা হবে', নেতাজি ইন্ডোর থেকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়
ভুয়োদের ছড়াছড়ি রাজ্যে। পুলিশের জালে রোজই ধরা পড়ছে ভুয়ো সিবিআই, আইএএস ও আইপিএস অফিসার। ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবকে দিয়ে শুরু হয়েছিল এই তালিকা। তারপর ধীরে ধীরে সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছেন অনেকেই। এর আগে ২৭ জুলাই কলকাতা থেকে গ্রেফতার হয় ভুয়ো আইপিএস রাজর্ষি ভট্টাচার্য ওরফে বাবাইকে। তাঁর বেলঘরিয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিশ। সেখান থেকে সেভেন রাইফেল, দোনলা বন্দুক, রিভলবার, এয়ার গান-সহ ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র, ও প্রচুর গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও, আইপিএস লেখা লোগো লাগানো ব্লেজার ও অশোক স্তম্ভ লাগানো উর্দিও সেই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে।