মন্ত্রক সূত্রের খবর, ১৯৬৫-১৯৭১ সালে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের সময় বা পরে এই সম্পত্তির মালিক, আজিজুর রহমান ও নাজিদুর রহমান ও নূরজাহান বেগম কলকাতার পাঠ চুকিয়ে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন।
একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Union Home Ministry)। শত্রু সম্পত্তি (enemy property)আইন ১৯৬৫ সালের অধীনে বেশ কিছু সম্পত্তি সিল করে দেওয়া হল এই রাজ্য। শনিবার কলকাতার (Kolkata)গণেশ চন্দ্র অ্যাভেনিউতে একটি সম্পত্তিকে শত্রু সম্পত্তি আইন ১৯৬৫-এর অধীনে সিল করে দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারা। এরকম একাধিক সম্পত্তির ওপর অবৈধ দখলদারীর অভিযোগে বেশ কয়েক দিন ধরেই অভিযান চলাচ্ছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে ভারতে শক্র সম্পত্তি বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগ গল CEPI। কলকাতার পাশাপাশি দিল্লিতেও এই বিভাগের দায়িত্ব সামলান অভিষেক আগরওয়াল। তাঁর নেতৃত্বে গণেশচন্দ্র অ্যাভেনিউর সম্পত্তি সিল করে দেওয়া হয়।
মন্ত্রক সূত্রের খবর, ১৯৬৫-১৯৭১ সালে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের সময় বা পরে এই সম্পত্তির মালিক, আজিজুর রহমান ও নাজিদুর রহমান ও নূরজাহান বেগম কলকাতার পাঠ চুকিয়ে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন। তাঁদের কোনও বৈধ দাবিদার নেই। তাই সমম্পত্তিটিকে শত্রু সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এজাতীয় সম্পত্তিগুলির ওপর রিটেলাররা দীর্ঘদিন ধরেই নজর রাখছে।
Businessman Murder: ঋণ শোধ করতে বলায় শোরুম মালিককে খুন, কাঠগড়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী
TMC: জাতীয় রাজনীতিতে কি 'একঘরে' তৃণমূল, নাম নেই ১২ সাংসদ সাসপেন্ডের যৌথ বিবৃতিতে
উত্তর প্রদেশের পর কলাকাতার ভারতের সবথেকে বেশি শত্রু সম্পত্তি রয়েছে। কলকাতায় এই ধরনের প্রায় ৯৬টি সম্পত্তি রয়েছে। সেগুলির অনেকগুলি বিবাদিবাগের মত গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় রয়েছে। এজাতীয় সম্পত্তিগুলি অবৈধভাবে দখলেরও চেষ্টা করা হচ্ছে।
কেন্দ্রের তরফে এজাতীয় তিন হাজার সম্পত্তি চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৯৬২ সালে ভারত-চিন যুদ্ধ ও ১৯৬৫-৭১ ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধর পর তৎকালীন চিনা ও পাকিস্তানের নাগরিকরা সেগুলি রেখে দিয়ে চলে গিয়েছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর বর্তমানে এই সম্পত্তির সংখ্যা ৯৪০৬ থেকে বেড়ে ১২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এই ধরনের সম্পত্তি গুলির মধ্যে কলকাতাতে রয়েছে কিছু রেস্তোঁরা, জুতোর দোকান, বাগান আর কিছু পুরনো বাড়ি।
বাংলার ১৩টি জেলা জুড়ে এজাতীয় প্রায় ২ হাজারের বেশি সম্পত্তি রয়েছে। যার মধ্যে ২৭৩৫টি স্থাবর সম্পত্তি। আর ৫১টি অস্থাবর। ১৯৬২ সালের যুদ্ধের পর যারা চিনা নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছিলেন তাদের স্থাবর সম্পত্তি সেগুলি। একটি সূত্র বলছে কেন্দ্রীয় সরকার এজাতীয় সম্পত্তিগুলি নিলাম করতে চলেছে আগামী দিনে। তবে স্বারাষ্ট্র মন্ত্রক এখনও এই বিষয়ে কোনও কিছুই জানাননি। তবে দীর্ঘ দিন ধরে এই সম্পত্তি গুলি পড়ে থাকায় সেগুলিকে কেন্দ্র করে দুষ্কৃতী চক্র তৈরি হয়েছে বলেও অভিযোগ একটা অংশের।