মুকুলকে বড় দায়িত্ব দিতেই প্রভাব পড়তে পারে দিলীপ ব্রিগেডে। পরিস্থিতি উপলব্ধি করে শীঘ্রই দুজনকে নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন বিজেপির 'সেকেন্ড ইন্ড কমান্ড' অমিত শাহ। সূত্রের খবর, অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে হতে পারে রাজ্য় রাজনীতির এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে বঙ্গ বিজেপি-র দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন নেতা শিবপ্রকাশ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন এবং বঙ্গ বিজেপি-র চার শীর্ষনেতা দিলীপ ঘোষ, সুব্রত চট্টোপাধ্যায়, মুকুল রায় ও রাহুল সিনহা বৈঠকে থাকবেন।
১ অক্টোবর থেকে খুলছে রাজ্যের সিনেমা হল, টুইট করে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
সামনেই একুশের বিধানসভা ভোট। তার আগে দক্ষ সংগঠককে হিসেবে পরিচিত মুকুল রায়কে সর্বভারতীয় স্তরে গুরুত্ব দিল ভারতীয় জনতা পার্টি। সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদে মুকুল রায়ের নাম ঘোষণা করেন দলের সভাপতি জে পি নাড্ডা।
সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ পেয়ে মুকুল রায় বলেন, ''আমাকে সর্বভারতীয় স্তরে সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ধন্যবাদ জানাই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। ধন্যবাদ জানাই, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। আমার উপর যে আস্থা রেখে গুরুত্ব দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আমি চেষ্টা করব সেই দায়িত্ব পালন করার। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কাজ করে সবাই মিলে চেষ্টা করব পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনা''।
চিটফান্ডের আমানতকারীদের টাকা ফেরাতে কী করছে রাজ্য়, স্বরাষ্ট্রসচিবের রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
মুকুল বড় পদ পেতেই রাজ্য় বিজেপিতে বড়সড় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। নব্য়-পুরাতনের সমস্যা ফের মাথাচাড়া দিয়েছে বঙ্গ বিজেপিতে। মুরলীধর স্ট্রিটে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, তৃণমূল থেকে আসা নেতারা দলে বড় দায়িত্ব পাওয়ায় ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে পদ্ম শিবিরে। যার জন্য় এবার বঙ্গ বিজেপির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন অমিত শাহ। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে বাংলা দখলের লক্ষ্য় বিজেপির।
আগে কলকাতা পুলিশের কর্তাকে বাঁচাতে নিজেই হাজির হতেন, মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা রাজ্য়পালের
এদিকে, হুগলিতে সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কৃষি বিলের পক্ষেও সওয়াল করেন মুকুল রায়। তিনি বলেন, ''এই বিলে নিয়ে মিথ্যে খোঁচা দিচ্ছে বিরোধীরা। কৃষকরা তাঁদের পরিশ্রমের ফসল সরাসরি বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। দালাল বা ফড়েদের হাত ফসল বাঁচিয়ে সরাসরি বিক্রি করে বেশি মুনাফা পাবেন চাষিরা''।