দোলের দিনে কুকুরের গায়ে রং দিলেই করতে হবে হাজত বাস, এমনটাই জানিয়েছে লালবাজার। সূত্রের খবর, পুলিশের কাছে কোনও পশুপ্রেমী সংস্থা বা পশুপ্রেমী আলাদা করে অভিযোগ জানালে সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন, রাজ্য়সভায় বাম-কংগ্রেসের প্রার্থী কি কানহাইয়া,নাম ঘিরে জোর জল্পনা
লালবাজার সূ্ত্রে খবর, সম্প্রতি কুকুরদের উপর অত্যাচারের একাধিক অভিযোগ পুলিশের কাছে জমা পড়েছে। অভিযোগ, এনআরএস হাসপাতালে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে ১৬টি কুকুরছানাকে। রিজেন্ট পার্ক এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬টি কুকুরের। এ ছাড়াও কুকুরের উপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। যার জন্য় পুলিশের তরফে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু দোল বা হোলির সময়ও কুকুরের শরীরে রং দেওয়াও রীতিমতো অত্যাচার বলেই দাবি শহরের পশুপ্রেমীদের। একটি পশুপ্রেমী সংগঠনের কর্ণধার প্রণয় দত্ত জানান, দোল ও হোলির সময় অনেকের মজাই রাস্তার কুকুরকে মৃত্যুর পথে ঠেলে দেয়। কারণ, রং শরীরে বসে গিয়ে কুকুরের ক্যানসার পর্যন্ত হয়। গ্রাম্র দিকে রং মাখানো হয় গরুকেও। এতে মারাত্মক ক্ষতি হয় গরুরও।
আরও পড়ুন, সিসিটিভি থাকতেও পালাল ১৩ জন নাবালক বন্দি, আড়িয়াদহের ধ্রুব আশ্রম ঘিরে রহস্য
অনেকসময় একসঙ্গে একাধিক কুকুর শাবকের উপর টেলে দেওয়া হয় বালতি ভরতি রং। সেই রং মাথা থেকে চুঁইয়ে এসে পড়ে তাদের চোখে। এতে তাদের চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বড় কুকুরের ক্ষেত্রেও একই সমস্যা হয়। শরীরের যেখানে রং লাগে, সেখানে অস্বস্তি শুরু হলে কুকুর সেই জায়গাটি জিভ দিয়ে চেটে পরিষ্কার করে। ফলে কুকুরের মুখে সেই বিষাক্ত রং চলে যায়। উল্লেখ্য় দেখা গিয়েছে, দোলের সময় কুকুর কামড়ানোর ঘটনা বেড়ে যায়। তার জন্য মানুষকেই দায়ি করেছেন পশুপ্রেমীরা।
আরও পড়ুন, দোল উৎসবে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস কলকাতায়, তাপমাত্রা স্বাভাবিকের দুই ডিগ্রি নিচে