বাঙ্গুর হাসপাতালের ভিডিয়ো নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য় রাজনীতি। ভিডিয়োটির সত্যতা নিয়ে রাজ্য় সরকারের ওপর চাপ বাড়াল বিরোধীরা। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ভিডিয়ো দিয়ে অবিলম্বে এর ব্যাখ্যা চাইলেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। সব মিলিয়ে সরকারি হাসপতালে কোভিড চিকিৎসার এই দশা নিয়ে সরগরম বাংলা।
দ্বিতীয় চিঠিতেই সুর নরম,সুপ্রিম কোর্টের উল্লেখ দেখেই কি কেন্দ্রীয় দলকে ছাড়পত্র...
কোভিড চিকিৎসায় রাজ্য় সরকারের পন্থা অনুসরণ করবে দেশ। কেন্দ্রীয় দল দেখলে বুঝতে পারবে কোথায় করোনা মোকাবিলায় কতটা তৎপড় রাজ্য় সরকার। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এই কথা বলেছিলেন আত্মবিশ্বাসী তৃণমূলের সাংসদ ডেরেক ও' ব্রায়েন। কিন্তু বাস্তবে ডেরেকের দাবি উড়িয়ে দিল সোশ্যাল মিডিয়ার একটি ভিডিয়ো। যেখানে বাঙ্গুর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্য়ে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, একাধিক মৃতদেহের পাশেই শুয়ে থাকতে হচ্ছে করোনায় সন্দেহভাজনদের। ভিডিয়োকারী ব্যক্তি দাবি করেছেন, করোনায় যেখানে সামাজিক দূরত্বের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে খোদ আইসোলেশন ওয়ার্ডেই বেড রাখা হয়েছে কাছাকাছি।
What’s very concerning is, inspite of this VDO being super-viral on all platforms, TILL NOW the WB Govt of @MamataOfficial Didi, did not come up with any claim that this is a fake VDO or that the hospital is not Bangur!!That takes us Very Close to believing it is indeed authentic https://t.co/Ec92ByNdgg
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) April 21, 2020
ছড়াতে পারে সংক্রমণ, কোভিড হাসপাতালে মোবাইল নিষিদ্ধ করল নবান্ন.
সোশ্য়াল মিডিয়ার এই ভিডিয়ো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাবুল। টুইটারে তিনি লিখেছেন, সব সোশ্য়াল মিডিয়ায় বাঙ্গুরের ভিডিয়ো ভাইরাল দেখেও এটা ভুয়ো বলে দাবি করেনি মমতার সরকার। এমনকী হাসপাতালটা যে বাঙ্গুর নয় তাও বলা হয়নি। এর থেকে এটাই বুঝে নিতে হবে, যে বাঙ্গুরের যে ভিডিয়ো প্রকাশ্য়ে এসেছে সেটা বিশ্বাসযোগ্য। এই বলেই অবশ্য় থেমে থাকেননি কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী। এছাড়াও হাসপাতালের ওই যুবকের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও মামলা করেছে কিনা জানতে চেয়েছেন বাবুল।
পরিসংখ্য়ান বলছে, রাজ্য়ে করোনা নিয়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায় একাধিক ভুয়ো পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে। যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। যদিও বাঙ্গুর হাসপাতালের পোস্টের সত্যতা নিয়ে এখনও মুখ্য় খোলেননি মুখ্য়মন্ত্রী।
রাজ্য়ে করোনা আক্রান্ত ৪০০ ছুঁই ছুঁই, বলছে কেন্দ্রের বুলেটিন...
এদিকে মোবাইলের মাধ্য়মে সংক্রমণের আশঙ্কায় হাসপাতালে মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল রাজ্য় সরকার। নির্দেশিকা জারি না হলেও টেক্সট মেসেজে রাজ্য়ের কোভিড হাসপাতালগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই খবর। জেলাশাসক, হাসপাতাল সুপার এমনকী কোভিড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে মঙ্গলবার পৌঁছে গিয়েছে সেই বার্তা।
এবার থেকে কোভিড হাসপাতালে কোনও রোগী বা স্বাস্থ্য কর্মীকে বাইরে মোবাইল জমা রেখে হাসপাতালে ঢুকতে হবে। মোবাইল রাখার পরিপ্রেক্ষিতে একটি রশিদ দেবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময় পাওয়া যাবে সেই মোবাইল। রোগীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে হাসপাতালের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করতে হবে বাড়ির লোকজনকে।
অতীতেও দেখা গিয়েছে, করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় অনেক চিকিৎসকই হাতের আংটি খুলে রেখেছেন। এবার মোবাইল থেকেও সংক্রমণের কথা জানাল খোদ রাজ্য সরকার। তাই বাইরে থেকে এলে নিজের জামা কাপড় হাতা পায়ের সঙ্গে মোবাইলও সংক্রমণ মুক্ত করুন। প্রথমে মোবাইলের কভার খুলে তা স্যানিটাইজার দিয়ে মুছে নিন। কেউ কভার ছাড়া ফোন ব্যবহার করলে। পাতলা কাপড় দিয়ে মোবাইলটিকে মুছে নিন। পরে ব্যাটারি খুলে তা স্যানিটাইজ করুন। পরে ব্যাটারি কভার পরিয়ে ফের ফোন ব্যবহার করুন। কখনোই বাইরে থেকে ফোন নিয়ে ঘরে ঢুকবেন না। সংক্রমণমুক্ত না করে আসবাবের ওর রাখবেন না।