বুধবার রাজ্যে মন্ত্রীব তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই 'ক্লোজ করা হয়েছে বাগুইআটি থানার আইসিকে। এবং এই মামলার তদন্তভার সিআইডির হাতে দেওয়া হয়েছে।
বাগুইআটি জোড়া খুনকাণণ্ডের তদন্তের ভার এবার সিআইডির হাতে। দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী খুনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বুধবার এই মামলায় 'ক্লোজ' করা হয় বাগুইআটি থানার আইসিকে এবং গোটা ঘটনার তদন্তের ভার দেওয়া হয় রাজ্যের তদন্তকারী সংথা সিআইডির হাতে।
বুধবার রাজ্যে মন্ত্রীব তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই 'ক্লোজ করা হয়েছে বাগুইআটি থানার আইসিকে। এবং এই মামলার তদন্তভার সিআইডির হাতে দেওয়া হয়েছে, ফিরহাদ হাকিম আরও জানান, রাজ্য পুলিশের ডিজিকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন অবিলম্বে যেন দোষীদের খুঁযে বার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়। প্রশানকে সব রকমভাবে শোকাতুর পরিবারের পাশে থাকতেও নির্দেশ দিইয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, বাগুইআটি জোড়া খুনের ঘটনায় বেদনাহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "এই ঘটনায় দুঃখিত মুখ্যমন্ত্রী। ছোট ছোট বাচ্চাদের এভাবে নৃশংসভাবে হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তিনি।" ফিরহাদ আরও জানান, "এদিন ডিজির সঙ্গে বৈঠকে সিআইডি কে দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।"
আরও পড়ুন - বাগুইআটির দুই ছাত্রকে খুনের ঘটনার মূলচক্রির বাড়িতে চড়াও স্থানীয়রা, ভাঙচুর চলে গোটা বাড়ি জুড়ে
উত্তর ২৪ পরগনা থেকে উদ্ধার হয় বাগুইআটির দুই ছাত্রের দেহ। তাদের অপহরণ করে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনজনকে। ধৃতদের নাম, শামিম আলি, শাহিন আলি, দিব্যেন্দু দাস। যদিও ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী ও আর একজনের এখনও খোঁজ মেলেনি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমত খেপে ওঠে এলাকাবাসী। উত্তেজিত জনতা চড়াও হয় অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীর বাড়িতে। বাড়ির মধ্যে ঢুকে ভাঙচুর করা হয় আসবাবপত্রও।
পরিবারসূত্রে জানা যাচ্ছে ২২ অগাস্ট থেকেই খোঁজ মেলেনি ওই দুই ছাত্রের। নিখোঁজ দুই পড়ুয়া অভিষেক নস্কর ও অতনু দে। অভিষেকের বয়স ১৬ বছর এবং অতনুর বয়স ১৭ বছর। দুজনেই হিন্দু মহাবিদ্যাপীঠে দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। বাগুইআটির আট নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অভিষেক ও অতনুর খোঁজ না মেলায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল নিকটবর্তী থানায়। নিহত ছাত্রের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে প্রথমে এক লাখ ও পরে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে তাদের কাছে। এরপর ২২ অগস্টই সন্ধ্যায় ন্যাজাট থানা এলাকায় এক জনের দেহ উদ্ধার হয়। পরের দিন ২৩ অগাস্ট মিনাখাঁ এলাকায় মেলে আর একজনের দেহ।
তদন্তে জানা গিয়েছে ২২ তারিখ, নিজের গাড়িতেই ওই দুই পড়ূয়াকে নিয়ে যান সত্যেন। তারপর যান রাজারহাটের একটি মোটরবাইকের দোকানে। সেখান থেকে বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ে ধরে বেড়িয়ে যান তাঁরা। পুলিশ সূত্রে খবর গাড়ির মধ্যেই দুই ছাত্রকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়।
আরও পড়ুন - 'পার্থ-অনুব্রত দলের পচে যাওয়া অংশ', জহর সরকারের মন্তব্যে অস্বস্তি বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরে