' পৈতের সময় তিনদিন ঘরবন্দী ছিলাম', লকডাউনে স্মৃতির শহরে 'লালপাহাড়ি' গানের স্রষ্টা

  • করোনা রুখতে লকডাউন চলছে গোটা রাজ্য় সহ দেশে  
  • এরই মাঝে স্মৃতি রোমন্থন করলেন  অরুণ কুমার চক্রবর্তী
  •  পাশাপাশি তিনি যুক্তির কাঠগোড়ায় রাখলেন চিনকে 
  • জীবনকালে পেয়েছেন জাতীয় পুরষ্কার সহ একাধিক অ্য়াওয়ার্ড 

Ritam Talukder | Published : Apr 6, 2020 5:51 AM IST / Updated: Apr 09 2020, 11:48 AM IST

করোনা রুখতে লকডাউন চলছে গোটা রাজ্য় সহ দেশে। আর তারই মধ্য়ে স্মৃতি রোমন্থন করার পাশাপাশি যুক্তির কাঠগোড়ায় রাখলেন চিনকে, মনের কথা জানালেন  'লাল পাহাড়ির দেশে যা'' গানের স্রষ্ঠা জাতীয় পুষ্কার প্রাপ্ত অরুণ কুমার চক্রবর্তী।  ঘরবন্দী অবস্থায় ছোটবেলার পৈতের সময় তিনদিন ঘরবন্দীর কথাও ভেসে এসেছে তাঁর কাছে।

 

 

শহরে দেদার শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগ, মোট ৯৮ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ

জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অরুণ কুমার চক্রবর্তী বলেছেন, ' এই ঘরবন্দী আমি। ভালোই হল , এই অনিবার্য ঘরবন্দী হওয়ার মধ্যে ঘরকে চেনার এক অপূর্ব সুযোগ পাওয়া গেল। সারা জীবনকাল বাইরে বাইরে কাটিয়েছি। হিমালয় থেকে কন্যাকুমারিকা , সোমনাথ থেকে কোহিমা। ঘুরে ঘুরে দেশ দেখার আনন্দে মগ্ম থেকে এ এক জীবনের নতুন অধ্যায়। পৈতের সময় তিনদিন ঘরবন্দী ছিলাম। আসলে জীবনের সবটাই উপভোগ করার একটা অভ্যাস তৈরি হয়েছে বলে অসুবিধে হচ্ছে না। তাছাড়া ধ্যান করার অভ্যাস থাকার দারুণ মাঝে মাঝে আরও নির্জন হলে ভালোই লাগে। আসলে পৃথিবীর এই মহাসংকট। আর অসহায় মানুষের অক্লান্ত মৃত্যুমিছিল দেখতে দেখতে , শুনতে শুনতে বিহ্বল হওয়া ছাড়া আর উপায় কী। শুধু সেই একেশ্বরের-পূর্ণ অদ্বৈতবাদের  কাছে প্রার্থনা করাই এখন কাজ। আশাবাদি মানুষ আমি, পৃথিবীর ভালো হোক এটাই আমি চাই। মাঝেমাঝে লিখতে ইচ্ছে করলে লিখছি , আরও ভালো লাগছে।'

 

 

আরও পড়ুন, বাড়িতে আলো জ্বালাতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী, মোমবাতি হাতে রাস্তায় অতি উৎসাহীরা

উল্লেখ্য় অরুণ কুমার চক্রবর্তী তার সারাজীবনে একাধিক পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। জাতীয় পুরষ্কার সহ - বন ও পরিবেশ দপ্তর , নিউ দিল্লী , ভারত সরকার লালন পুরস্কার , পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফেও পুরষ্কার। কলকাতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় , কবি মাইকেল মধুসূদন , কবি ভারতচন্দ্র , কবি জীবনানন্দ , লালন কবি শিরোমণি পুরস্কার। পাশাপাশি ইন্দোবাংলাদেশ সাহিত্যে পুরস্কার , বাংলাদেশ , সহজিয়া ফাউনডেসন সম্মান। অপরদিকে তিনি আরও জানিয়েছেন,'আমাদের - বউ , দুই ছেলে , দুই বৌমা , দুই নাতি সহ ভরাট সংসার। একসঙ্গে থেকে সঙ্গ পাচ্ছি- এও এক পরম পাওয়া। না কোনও ছেলে বিদেশে যায়নি, কাছেই আছে।  আসলে সেও এক  শান্তি। তবে প্রচুর ফ়োন পাচ্ছি। কবি ও অন্যান্য বন্ধুরা খোঁজ খবর নিচ্ছে। আমি  ভাবছি আমাদের পরিবেশ কতোটা সুস্থ হোলো। তবে যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে মৃত্যুসংখ্যা বাড়ছে , ভাবনা বেড়েই চলেছে।  শেষ বা কোথায় , কেউ জানে না। অথবা আন্তর্জাতিক স্তর , আর পারিপার্শ্বিকতা ভাবিয়ে তুলছে। হঠাৎ চিনে মৃত্যুহার কমে গেল। বেজিংএ কোনও ছোঁয়া লাগলো না। অথচ সারা বিশ্বে অবিরাম মৃত্যুর মিছিল। কোথায় শেষ কেউ বলতে পারছে না। অর্থনীতিতে ধস,খাদ্যে ওষুধে টান ,কালোবাজারীদের উৎপাত। সব মিলিয়ে ধ্বংসের মুখোমুখি আমরা। আমি আশাবাদী মানুষ। মানুষ থাকবে , একটা নতুন পৃথিবীর দরজায় কড়া নাড়বে।'

 

 

 রাজ্য়ে করোনায় আক্রান্ত এবার এক নার্স, পরিবারকে কোয়ারেনটাইনে থাকার নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের

করোনা আক্রান্তদের এমআর বাঙ্গুরে স্থানান্তর ঘিরে তুলকালাম, অভিযোগ নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে নার্সরা

পাঁচিল টপকালেই ভাইরাস এক্সপার্ট সেন্টার, তবুও মুখ ফিরিয়ে মেডিক্য়াল কলেজ

 

Share this article
click me!