বিধাননর পুলিশ সূত্রে খবর, রাজস্থানের বাসিন্দা পূর্নাংশু বোস বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেন যে তিনি চাকরির জন্য একটি অনলাইন পোর্টালে তার সিভি আপলোড করেন। সেখান থেকেই মূল ঘটনার সূত্রপাত।
কখনও হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে ব্যাঙ্ক, তো কখনও হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে কম্পিউটারের নথি। নিত্য নতুন সাইবার ক্রাইমের চক্করে পরে নাজেহাল কলকাতাবাসী। এবার বিদেশের সংস্থার চাকরি দেওয়ার নাম করে বডসড় প্রতারণা চক্রের ফাঁদ। বড়সড় প্রতারণা চক্রের মূল পান্ডাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। নয়ডা থেকে এক মহিলাকে গ্রেফতার করলো বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। এই ঘটনায় স্বভাবতই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরের বুকে। পুলিশ সূত্রে খবর, রাজস্থানের বাসিন্দা পূর্নাংশু বোস বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেন যে তিনি চাকরির জন্য একটি অনলাইন পোর্টালে তার সিভি আপলোড করেন। সেখান থেকে তার কাছে একটি মেইল আসে এবং মিস পায়েলের সঙ্গে চাকরির জন্য যোগাযোগ করতে বলা হয়। সেই অনুযায়ী পায়েলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন অভিযোগকারী। পায়েল তাকে সিঙ্গাপুরের একটি সংস্থায় মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টে কাজের প্রতিশ্রুতি দেয়।
তার পরদিন তার কাছে ওই সংস্থার টেকনিকাল হেড পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি ফোন করে এবং পূর্বের কাজের তথ্য জমা করতে বলে। পরবর্তীতে পায়েল তাকে ফোন করে জানায় মেডিক্যাল রিপোর্ট তৈরি করার জন্যে ১৪৭৫০ টাকা জমা করতে যেটি পরে চাকরি না পেলে ফেরত যোগ্য। সেই অনুযায়ী তিনি সেই টাকা জমা করেন। তার কিছুদিন পর আবারও তাকে ডিজিট্যাল সিভি তৈরির জন্যে টাকা জমা করতে বলে পায়েল। প্রতারিত হচ্ছেন বুঝতে পারে সাইবার ক্রাইম থানার দারস্ত হন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ জানতে পারে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ একটি সংস্থা খুলে এই প্রতারণা চক্র চালাচ্ছে একটি সংস্থা। এই ঘটনায় আগে ৩জনকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল এই প্রতারণা চক্রের মূল পান্ডা সৌমী ঘোষ।
আরও পড়ুন- যোগী ঝড়ে ধরাশায়ী অখিলেশ-মায়াবতী, উত্তরপ্রদেশে সর্ব বৃহৎ দল হিসাবে ফের আত্মপ্রকাশ বিজেপির
অবশেষে সূত্রে মারফত খবর পেয়ে নয়ডাতে হানা দেয় বিধাননগর সাইবার পুলিশের একটি দল। সেখান থেকে মূল অভিযুক্ত সৌমী ঘোষকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। তাকে তিন দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতা নিয়ে আসা হয়েছে। আজ তাকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই ঘটনায় আরও কারা জড়িত আছে তা তদন্ত করে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। এমনকী চক্রের মূল আদপে গত গভীরে গিয়েছে তাও জানান চেষ্টা চলছে।