শুক্রবার হাওড়ার জেলা শাসক মুক্তা আর্যা সাংবাদিক সম্মেলনে করে ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ভোট দানের প্রতি মানুষের সচেতনতা বাড়ানোর জন্য বিশেষ প্রচারাভিযান চালু করলেন। যা নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
রাত পোহালেই পুরভোট। এদিকে তার আগে শেষ মুহূর্তের প্রচারে গতকাল দিনভর ঝড় তুলল শাসক-বিরোধী সব পক্ষই। এদিকে নির্বাচনী আবহেই ভোটাধিকার প্রয়োগ নিয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে ফের নতুন পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল নির্বাচন কমিশনকে। শুক্রবার হাওড়ার জেলা শাসক মুক্তা আর্যা সাংবাদিক সম্মেলনে করে ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) পক্ষ থেকে ভোট দানের প্রতি মানুষের সচেতনতা বাড়ানোর জন্য বিশেষ প্রচারাভিযান চালু করলেন। এই সচেতনতা প্রচারে পাঁচটি বিভাগের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানালেন জেলা শাসক। এই পাঁচটি বিভাগে যে কোনও মানুষ অংশগ্রহণ করতে পারে।
ক্যুইজ প্রতিযোগিতা, ভিডিও তৈরি, বিশেষ পোস্টার তৈরি, বিশেষ স্লোগান তৈরি ও গানের প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা রয়েছে। তিনি জানান হাওড়া জেলাতে বহু প্রতিভাবান শিল্পী আছেন তারা এতে অংশ নিতে পারবেন। প্রতিটি বিভাগে তিনটি স্তর রাখা হয়েছে। সরল পদ্ধতি থেকে কঠিন তিন ধরণের স্তর থাকবে এতে বলেই জানান তিনি। গানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ তিন মিনিট ও ভিডিওর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ এক মিনিট ধার্য করা হয়েছে। পোস্টারের ক্ষেত্রে ডিজিটাল পোস্টার তৈরি এতে করা যাবে। পাশাপাশি গান বা নাচের প্রতিষ্ঠানও এতে অংশ নিতে পারবেন বলে জানান তিনি। এই প্রচার অভিযান সাধারণ মানুষের মধ্যে ভোটের প্রতি সচেতনতা বাড়াতে ও সাধারণ মানুষ ভোট নিয়ে যা ভাবে সেই ভাবনাকে ভোট প্রক্রিয়ার মধ্যে যুক্ত করতেই সারা দেশ জুড়েই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন- পুরভোটের আবহে তপ্ত বাংলার মাটি, শেষ দিনের প্রচারে বড় চমক একাধিক জেলায়
অন্যদিকে আগামী ২৭শে ফেব্রুয়ারি রবিবার রাজ্যের ১০৮টি পৌরসভার নির্বাচন এর সঙ্গে, মুর্শিদাবাদ জেলায় ৭ টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন এর প্রচারের সময় শেষ হতে শুক্রবার বিকেল ৫ টা পর্যন্ত। শুক্রবার প্রচারের শেষ দিনে নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুলল সমস্ত রাজনৈতিক দল। তার মধ্যেই নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। এদিকে পুরভোটের প্রচারের শেষ দিনে শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের তাম্রলিপ্ত পৌরসভার নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির মনোনীত প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার মিছিল নিয়ে বেরিয়ে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে তোপ দাগেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। শেষ দিনের প্রচারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা যায় বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীকেও।