যতক্ষণ না ফ্লাইওভারের আশেপাশের মানুষ এ ব্যাপারে সচেতন হচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত কোনোভাবেই এই দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে না বলেই মনে করছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা।
মকর সংক্রান্তিতে গোটা বাংলাজুড়েই প্রতিবছর কার্যত ঘুড়ির মেলা দেখা যায়। ঘুড়ি লাটাই হাতে নতুন আনন্দে মাতোয়ায়া হয় বাংলার কিশোর-কিশোরীর দল। এদিকে শহর কলকাতা (Kolkata) হোক বা শহরতলি প্রতি জায়গাতেই ঘুড়ির মাঞ্জা সুতোর কবলে পড়ে আহত হন বহু মানুষ। এবারও তার অন্যথা হল না। রবিবার এমনই এক ঘটনা ঘটে গেল তারাতলার (Taratala in kolkata) কাছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বজবজ পূজালীর বাসিন্দা (Resident of budge budge) সোমনাথ দোলুই(২৮) এদিন তার মোটরসাইকেল নিয়ে উড়ালপুলের উপর দিয়ে আনুমানিক তিনটে পঞ্চাশ নাগাদ তারাতলা যাচ্ছিলেন। সেই সময় বেশ কিছু যুবক এই এলাকাতেই ঘুড়ি ওড়াচ্ছিল (Flying kites) বলে জানা যায়। সেই ঘুড়ির চিনামাঞ্জা সুতোয় গুরুতর আহত হন সোমনাথ। উড়ালপুলের উপরেই মোটরসাইকেল নিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে যান সোমনাথ (Accident in kolkata)। কেটে যায় নাক ও কপাল।
এদিকে ঘটনা চক্রে সেই সময় তারাতলার দিক থেকে বজবজের দিকে আসছিল অপর আর এক মোটর সাইকেল আরোহী। তিনিই সোমনাথকে উদ্ধার করে বজবজ ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার কপাল ও নাকের উপর সেলাই করতে হয়। এদিকে বিগত কয়েক বছরে উড়াল পুলে চিনা মাঞ্জার কবলে পড়ে আহত হয়েছে বহু বাইক আরোহী। যদিও তারপরে এই ধরণের ঘটনায় রাশ টানতে পারেনি। তবে সাবধনতার খাতিরে এই সময় উড়াল পুলে নিয়ন্ত্রিত স্পিডেই বাইক চালানোর পরামর্শ দিচ্ছেন পুলিশ কর্মীরা। মহেশতলার ট্রাফিক গার্ডের তরফে ফের এদিন এই বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান চালানো হয়।
তবে যতক্ষণ না ফ্লাইওভারের আশেপাশের মানুষ এ ব্যাপারে সচেতন হচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত কোনোভাবেই এই দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে না বলেই মনে করছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার মা ফ্লাইওভারে চিনামাঞ্জায় নাক কেটেছিল এক মহিলার। মা উড়ালপুল ধরে বিশ্বকর্মা বিল্ডিং থেকে রুবির দিকে স্কুটিতে আসার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন ওই মহিলা। তা ছাড়া গত বছর ১৫ অগাস্ট, হাওড়ার পিলখানার বাসিন্দা মহম্মদ শাহজাদাও কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে চিনা মাঞ্জাবর কবলে পড়ে গুরুতর আহত হন। এছাড়া ১২ সেপ্টেম্বর চিনা মাঞ্জায় জখম হয়েছিলেন যাদবপুর ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট রূপম দাস। রবিবার ডিউটিতে যোগদান করতে যাওয়ার সময় আচমকাই ছিটকে পড়ে আহত হয়েছিলেন তিনি। যা নিয়েও ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। এমতাবস্থায় এবার ফের একই ধরণের ঘটনা ঘটায় বাড়ছে উদ্বেগ। এমনকী ফের জোরালো হচ্ছে চিনা মাঞ্জা বন্ধের দাবি।