বৃহস্পতিবার রামপুরহাট যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় । 'আজই বীরভূমে যাব ভেবেছিলাম, কিন্তু কিছু দল ল্যাংচা খেতে খেতে ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে বীরভূমে ঢুকছে, তাই যাইনি', বললেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।
বৃহস্পতিবার রামপুরহাট যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। 'আজই বীরভূমে যাব ভেবেছিলাম, কিন্তু কিছু দল ল্যাংচা খেতে খেতে ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে বীরভূমে ঢুকছে, তাই যাইনি', বললেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। মূলত এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বিধবা ভাতা প্রদান অনুষ্ঠান থেকেই তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে বৃহস্পতিবার রামপুরহাট যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মমতা।
'অ্যাকশন নিতে আমরা কোনও কালার দেখি না'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, 'রামপুরহাটের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। রামপুরহাটের ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। বীরভূমের ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। দোষীরা কেউ ছাড় পাবে না। খবর পেয়ে আমি ফিরহাদ হাকিমকে পাঠিয়েছি। ঘটনা ঘটার পর অ্যাকশন নেওয়া হচ্ছে। অ্যাকশন নিতে আমরা কোনও কালার দেখি না। প্রসঙ্গত, রামপুরহাটের ঘটনায় সিট গঠন করে ওসি , এসডিপিও-কে অপসরণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌছে ঘটনার তদন্তে পৌছেছেন বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠি। তৃণমূল নেতা খুনে দুষ্কৃতীদের ধরতে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে দুটি সিসিটিভি রয়েছে। একটি রামপুরহাট পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান, তৃণমূল কাউন্সিলর অশ্বিনী তেওয়ারির বাড়িতে অন্যটি রয়েছে ট্রাফিক পুলিশের। দুটি সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। ঘটনাস্থল ইঁট দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। রামপুরহাটে এতজনের মৃত্যু খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন। সবরকম প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন কর্তারা। নবান্নের সঙ্গে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্যপুলিশের ডিজিও জরুরী বৈঠক করেছেন। গোটা ঘটনায় রিপোর্ট তলব করা হয়েছে নবান্নের তরফে। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রামপুরহাট রওনা দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।তাঁর সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন তিন তৃণমূল বিধায়ক। এডিজি, সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিংহের নের্তৃত্বে সিট গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, 'রাজ্য পুলিশের ওপর আস্থা না থাকলে রাজ্যপালের চলে যাওয়াই ভালো', বিস্ফোরক ফিরহাদ
'কিছু দল ল্যাংচা খেতে খেতে ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে বীরভূমে ঢুকছে, তাই আজ গেলাম না'
এদিন মমতা আরও বলেন 'আমরা সবাইকে সব জায়গায় যেতে দিই। কিছু দল ল্যাংচা খেতে খেতে ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে বীরভূমে ঢুকছে। আজ বীরভূমে যাব ভেবেছিলাম, তাই যাইনি। আগামীকাল আমি রামপুরহাট যাব। হাঁচলে-কাশলে এখানে দেখছি, আদালতে চলে যাচ্ছে। আজ পেট্রোলের দাম বাড়িয়েছে যাতে কেউ কিছু না বলতে পারে।' মূলত রাজ্যের তরফে সিট গঠন করলেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র হস্তক্ষেপের দাবি করে রাজ্য বিজেপি। ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর দাবি জানায় তারা। আর এবার সেই দাবিতে সিলমোহর দিয়েছে অমিত শাহ। রামপুরহাটকাণ্ডে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল। ৭২ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র সঙ্গে সাক্ষাত শেষে দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।