সংক্ষিপ্ত
'পুলিশ প্রশাসনের ওপর আস্থা না থাকে তাহলে সেই রাজ্যপালের চলে যাওয়াই ভালো', রামপুরহাটকাণ্ডে রাজ্যপালকে তোপ দাগলেন এবার ফিরহাদ হাকিম।' তবে শুধু রাজ্যপালকেই শুধু নয়, বিজেপি-সহ সেলিমকেও এদিন একহাত নিলেন ফিরহাদ।
'পুলিশ প্রশাসনের ওপর আস্থা না থাকে তাহলে সেই রাজ্যপালের চলে যাওয়াই ভালো', রামপুরহাটকাণ্ডে রাজ্যপালকে (Governor Jagdeep Dhankhar) তোপ দাগলেন এবার ফিরহাদ হাকিম।' তবে শুধু রাজ্যপালকেই শুধু নয়, বিজেপি-সহ সেলিমকেও এদিন একহাত নিলেন ফিরহাদ (Firhad Hakim)।
'তখন বিজেপির বন্ধুরা কেন চুপ করে ছিল, কোথায় ছিলেন আমাদের রাজ্যপাল'
এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আমাদের বিরোধীরা ঘোলা জলে মাছ ধরতে তৎপর হয়ে ওঠেন। যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক, এই ঘটনাকে কেউ আমরা সমর্থন করিনা। পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করতে। বিরোধীরা সব সময় সব কিছুতেই হই হই করে ওঠে এটা ঠিক নয়। যখন উত্তরপ্রদেশে আটটা পুলিশকে এনকাউন্টার করে দিল তখন বিজেপির বন্ধুরা কেন চুপ করে ছিল। যখন মন্ত্রীর ছেলে কৃষককে গাড়িচাপা দিয়ে দিলো তখন কেন বিজেপির বন্ধুরা চুপ করেছিলেন। যখন মনীষা বাল্মিকীকে রেপ করে হত্যা করে পুড়িয়ে দেওয়া হল, তখন বিজেপির বন্ধুরা কোথায় ছিলেন। আর কোথায় ছিলেন আমাদের রাজ্যপাল। এখন সেলিম সাহেব ঘটনাস্থলে গেছেন। একটু নাচানাচি করে নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে।'
আরও পড়ুন, রামপুরহাটকাণ্ডে ফের মমতাকে তোপ, প্রতিক্রিয়া ইস্যুতে চিঠি তুলে টুইটে নিশানা রাজ্যপালের
'ঘোলা জলে মাছ ধরার মতো কথা বলা ঠিক নয়'
এরপরেই তিনি আরও বেলন, 'বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন। তাই ২০২১-এর নির্বাচনে বিপুল ভোটে ক্ষমতায় এসেছেন তিনি। এই ঘোলা জলে মাছ ধরে লাভ নেই। পুলিশ তদন্ত করবে দোষীদের গ্রেফতার করবে তাঁদের দৃষ্টি মূলক শাস্তি দেওয়া হবে। এই ঘটনার পর 'আমি চুপ করে বসে থাকতে পারি না।' ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, 'তাহলে উনি কেন এতদিন চুপ করে বসে ছিলেন যখন অন্য জায়গায় এই ঘটনাগুলো ঘটেছিল। যখন উত্তরপ্রদেশে এনকাউন্টার হয়েছিল তখন কেন জরুরী সরকারের বিরোধিতা করেননি তিনি। কেন তুমি চুপ করে বসে ছিলেন তাই এইসব ঘোলা জলে মাছ ধরার মতো কথা বলা ঠিক নয়। তাই রাজ্য সরকার আছে। রাজ্য সরকার তার নিজের কাজ করছে। এই ঘটনায় যারা দোষী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।'
'রাজ্যপালের চলে যাওয়াই ভালো'
এদিকে রামপুরহাটকাণ্ডে একের পর এক তোপ দেগেছেন রাজ্যপাল। 'সিট দোষীদের পালাতে সাহায্য করছে' বলেন রাজ্যপাল। পাল্টা ফিরহাদ বলেন, এই মন্তব্য শুনে বোঝা যাচ্ছে রাজ্যপাল প্রথম থেকেই পক্ষপাতিত্ব সুরে কথা বলছেন। রাজ্যপাল রাজ্যের প্রধান। সেই রাজ্যপালের যদি নিজের রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের ওপর আস্থা না থাকে তাহলে সেই রাজ্যপালের চলে যাওয়াই ভালো।' এখানেই শেষ নয়, ফিরহাদ বলেন, রাজ্যপালকে রাজ্যের কেউ মানে না। রাজ্যপালের কাজ শুধু চিঠি দেওয়া আর টুইট করা।রাজ্যপাল নিজের কাজ করুন। মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের কাজ করতে দিন। এদিকে বিজেপি অভিযোগেও জল ঢাললেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন,'কেউ মারা যায়নি, বিজেপির কোথাও ২০০ জন কর্মী মারা যায়নি। এখন অবদি বিজেপি কোনও লিস্ট দিতে পারেনি। গ্রামের দু-একজন মারা গেছে সেগুলি নিয়ে দিলীপ ঘোষ টানাটানি করছেন। মৃতদের নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। রাজ্যের সেরা অফিসারদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে সিট। দোষীদের গ্রেফতার করা হবে।'