'মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করুন', মমতার রামপুরহাট সফরের দিনেই বিধায়সভায় ফের ওয়াকআউট বিজেপির।
'মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করুন', মমতার রামপুরহাট সফরের দিনেই বিধায়সভায় ফের ওয়াকআউট বিজেপির। এদিন প্রতিবাদে অংশ নেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার ইতিমধ্য়েই রামপুরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এমনি দিনে ফের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে ফের বিধানসভায় বিক্ষোভ- স্লোগান তুলেছে বিজেপি (BJP) ।
বরশাল পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান খুনের বদলে আরও ৮ খুনের পর অগ্নিগর্ভ রামপুরহাট। উল্লেখ্য, রাতেই কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্য়ু হয়েছে। ইতিমধ্যেই মোট ১৩ টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা এবং দুজন শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাই ফের বৃহস্পতিবার রামপুরহাটকাণ্ডের প্রতিবাদে বিধানসভায় ওয়াকআউট করল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি । 'রামপুরহাট মধ্যযুগীয় বর্বরতা', বলেই উল্লেখ করেছে গেরুয়া শিবির। মঙ্গলবারও বিধানসভায় বিক্ষোভ চলে। বিজেপির মুখ্য আহ্বায়ক মনোজ টিগ্গা দাবি করেন, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে বলতে চাইলে বিজেপিকে বলার সুযোগ দেননি অধ্যক্ষ। আর এরপরেই তারা ওয়াক আউট শুরু করেন। উল্লেখ্য, ইতিমধ্য়েই রামপুরহাটকাণ্ডে সিট গঠন করা হয়েছে। সরানো হয়েছে ওসি, এসডিপিওকে। তবে শাসক দলের উপর ভরসা হয়নি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির। ঘটনাস্থলে উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই রওনা দিয়েছে বিজেপির প্রতিনিধি দল। এদিন কেন্দ্রীয় দলও ঘটনাস্থলে পৌছচ্ছে। একই দিনে রামপুরহাটে যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ও। এমনি দিনে বিধানসভায় রাজ্যের শাসকদলের উপর চাপ তৈরি চেষ্টা করল বিজেপি।
আরও পড়ুন, প্রাণনাশের আশঙ্কায় ১ বছর আগেই পুলিশকে চিঠি দেন ভাদু শেখ, গাফিলতির দায় কার
আরও পড়ুন, বীরভূম গণহত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য, এখন পর্যন্ত কোথায় দাঁড়িয়ে তদন্ত, কী কী ঘটল এখন পর্যন্ত
প্রসঙ্গত, সোমবার রাত সাড়ে ১০ নাগাদ রামপুরহাট ১ নং ব্লকের বরশাল গ্রামের বাসিন্দা উপপ্রধান ভাদু শেখকে বোমা মেরে খুন করা হয়। সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বগটুই মোড়ে দাঁড়িয়ে ফোন করছিলেন তিনি। সে সময় দুটি মোটর বাইকে চার দুষ্কৃতী তাকে লক্ষ্য করে পর পর কয়েকটি বোমা ছোড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। এরপরেই রাত বাড়লেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। তিন চারটে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। সেখানেই আগুন পুড়ে মহিলা-শিশু- সহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরেই উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। প্রসঙ্গত, বীরভূমের রামপুরহাটের গণহত্যাকাণ্ডে বৃহস্পতিবারই অন্যতম বড় দিন। ইতিমধ্যেই এদিনই রাজ্যেকে রিপোর্ট করতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট । বৃহস্পতিবার দুপুর দুটোয় শুনানি। বীরভূমের ওই ঘটনাস্থলকে চব্বিশ ঘন্টা সিসিটিভি-র আওয়াতায় আনার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ঘটনাস্থলে যাচ্ছে ফরেন্সিকও।