রাজ্য়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য় সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমে প্রতিবাদ করেছিল বামেরা। সেপথে না হেঁটে এবার বাড়িতেই রাজ্যের রেশন দুর্নীতির প্রতিবাদে সরব হল বিজেপি। বাড়িতেই মৌন প্রতিবাদে বসলেন বিজেপির রাজ্য় সভাপতি।
চিন থেকে সোজা কলকাতা বিমানবন্দরে, ১০ টন করোনা-চিকিৎসার সামগ্রী নিয়ে শহরে নামল উড়ান.
বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যে রেশন ব্যবস্থা নিয়ে দুর্নীতি চলছে। লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই রেশন ব্যবস্থার ওপর দখল নিয়েছে শাসক দলের নেতারা। যার ফল ভুগতে হচ্ছে গরিব রেশন কার্ড হোল্ডারদের। এবার সেই অভিযোগেই নিজের বাড়ির সামনে প্রতীকী অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন তিনি। রবিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন রাজ্য বিজেপির আরও দুই নেতা। রয়েছেন সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু।
লকডাউনের মাঝেই চলছে পবিত্র রমজান মাস, বিধি মানায় বিশেষ নির্দেশ পুলিশ কমিশনারের.
মৌন প্রতিবাদে এদিন দিলীপবাবু বলেন, মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন জায়গায় রেশন দোকান ঘেরাও করে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। কোথাও তৃণমূল নেতাদের ঘেরাও করে ক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এটা দিন দিন বাড়ছে। দিলীপের দাবি, লকডাউনের মধ্যে মানুষ গৃহবন্দি। এরকম একটা সময়ে অনেকেরই উপার্জন বন্ধ। রাজ্ বিজেপির সভাপতির দাবি,রাজ্যের রেশন ব্যবস্থার কোনও ঠিক নেই। ভোর চারটে সাড়ে চারটে থেকে লাইন দিচ্ছেন মানুষ। রেশন দোকান কখন খুলছে তার ঠিক নেই। অনেক জায়গায় বিকেল পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। আর মুখ্যমন্ত্রী মাইক নিয়ে নাটক করছেন। যা এই রকম একটা পরিস্থিতিতে কখনোই কাম্য় নয়।
লকডাউনে রসগোল্লা বিক্রি করছেন রাজ্য়ের মন্ত্রী, বৃদ্ধাশ্রম হয়েছে রান্নাঘর.
বিজেপির অভিযোগ, করোনা নিয়ে তথ্য গোপন, গোপনে মৃতদেহ পুড়িয়ে দেওয়া, রেশন দুর্নীতির মতো বিষয়ে রাজ্য়বাসী জেরবার। এরকম সময়ে বিজেপি নেতা ত্রাণ বিলি করতে বেরোলে তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে এই সমস্ত অভিযোগ তুলে তার প্রতিবাদেই আজ, বঙ্গ বিজেপির বাড়ি থেকে মৌন প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেন বিভিন্ন জেলায় দলের লক্ষাধিক কর্মী। রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী পোস্টার হাতে নিয়ে মৌন অবস্থান করেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, সুব্রত চট্টোপাধ্যায়।